প্রসাবে ইনফেকশন দূর করার ১২ টি ঘরোয়া উপায় - ইনফেকশনের লক্ষণ

প্রস্রাবে ইনফেকশন দূর করার ১২ টি ঘরোয়া উপায় - ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি এসব ঘরোয়া উপায় এবং ডাক্তারের কিছু পরামর্শ জেনে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিলে আপনি প্রস্রাবে ইনফেকশন এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

প্রসাবে-ইনফেকশন-দূর-করার-১২-টি-ঘরোয়া-উপায়-ইনফেকশনের-লক্ষণ

প্রস্রাবে ইনফেকশন মূলত নারী ও পুরুষ সবারই হয়ে থাকে।  প্রস্রাব ইনফেকশন যদি হয় তাহলে সব থেকে ভালো উপায় হচ্ছে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া। কিন্তু কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো দ্বারা ইনফেকশনের সমস্যা দূর করা সম্ভব হয়ে থাকে।

প্রসাবে ইনফেকশন দূর করার ১২ টি ঘরোয়া উপায় - ইনফেকশনের লক্ষণ

প্রস্রাবে ইনফেকশন দূর করার ১২ টি ঘরোয়া উপায়

প্রস্রাব ইনফেকশন দূর করার ১২ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রস্রাব ইনফেকশন এর সমস্যাটি নারী অথবা পুরুষ যে কারোরই হতে পারে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো ভালোভাবে মেনে চললে প্রস্রাবের ইনফেকশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আজকে আমরা প্রস্রাবে ইনফেকশন দূর করার ১২ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানব।

আরো পড়ুনঃ চিরতা খাওয়ার ২৫ টি উপকারিতা - অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

  • পরিষ্কার থাকাঃ সব সময় পরিষ্কার পরিছন্নতা বজায় রাখুন। নিয়মিত গোসল করুন ও সুতির পরিষ্কার পোশাক পড়ুন।
  • পানি পান করাঃ প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে শরীরকে ঠান্ডা রাখা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। বেশি পরিমাণে পানি পান করার ফলে ব্যাকটেরিয়া শরীর থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে।
  • ক্র‍্যানবেরি জুসঃ ক্র‍্যানবেরি জুসের মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান প্রসাবে ইনফেকশন সৃষ্টি হওয়া ব্যাকটেরিয়াকে বৃদ্ধি পেতে প্রতিরোধ করে।
  • গরম পানির সেঁকঃ প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে গরম পানির সেঁক  দিতে পারেন। এতে ব্যথা অনেকটা কম অনুভব হয়।
  • ভিটামিন সি যুক্ত খাবারঃ ভিটামিন সি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই যাদের প্রস্রাবে ইনফেকশন এর সমস্যা রয়েছে। তারা যদি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খায়। তহলে ভিটামিন সি তাদের প্রসাবে ইনফেকশন সৃষ্টি হওয়া ব্যাকটেরিয়াকে বৃদ্ধি পেতে বাধা সৃষ্টি করে।
  • ডাবের পানিঃ যাদের প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা রয়েছে। তারা নিয়মিত ডাবের পানি পান করুন। ডাবের পানি প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
  • প্রস্রাব আটকে না রাখাঃ প্রস্রাব লাগলে কখনোই আটকে রাখবেন না। প্রস্রাব আটকে রাখলে ইনফেকশন সৃষ্টি হওয়া ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। তাই যখনই প্রস্রাব লাগবে আটকে না রেখে তখনই প্রস্রাব করুন।
  • তুলসী পাতাঃ তুলসী পাতার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান প্রস্রাব ইনফেকশনের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই যাদের প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা রয়েছে। তারা তুলসী পাতার রস পান করুন।
  • রসুনঃ রসুনের মধ্যে থাকা এন্টিব্যাকটেরিয়াল পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা প্রস্রাবে ইনফেকশন সৃষ্টি হওয়া ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে বাধা সৃষ্টি করে।
  • অ্যালকোহল এবং ক্যাফিনঃ অ্যালকোহল এবং ক্যাফিন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ অ্যালকোহল এবং ক্যাফিন প্রস্রাব ইনফেকশনের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে।
  • প্রবায়োটিক সেবনঃ প্রবায়োটিক সেবন করার ফলে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া গুলো বৃদ্ধি পায়। এর ফলে প্রস্রাব ইনফেকশনের সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে।
  • ধনে এবং মেথি ভেজানো পানিঃ ধনে এবং মেথি ভেজানো পানি প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই যাদের প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা রয়েছে। তারা ধনে এবং মেথি ভেজানো পানি পান করুন।

প্রস্রাবে ইনফেকশন এর লক্ষণ

প্রস্রাবে ইনফেকশন নারী অথবা পুরুষ উভয়েরই হয়ে থাকে। প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে আমাদের শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেই লক্ষণগুলো দেখা গেলে প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়েছে তা বোঝা যায়। আজকে প্রস্রাবে ইনফেকশন এর লক্ষণ সমূহগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রস্রাবে ইনফেকশন এর লক্ষণ সমূহগুলো সম্পর্কে।

  • প্রস্রাব করার সময় ব্যাথা এবং জ্বালাপোড়া অনুভূত হওয়া।
  • তলপেটে ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভূত হওয়া।
  • ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসা বা ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
  • প্রস্রাব করার পরেও আবার তীব্রভাবে প্রস্রাবের বেগ  অনুভব হওয়া।
  • প্রস্রাবের রং গাঢ় বা ঘোলা হওয়া এবং প্রস্রাব দুর্গন্ধযুক্ত হওয়া।
  • প্রস্রাব করার সময় প্রস্রাবে রক্ত দেখতে পাওয়া।
  • জ্বর জ্বর এবং শরীর দুর্বল অনুভব হওয়া।
  • পিঠে বা কোমরে ব্যথা অনুভব হওয়া।
  • প্রস্রাব করার পরেও মূত্রথলিতে প্রস্রাবের উপস্থিতি অনুভব হওয়া।
  • শিশুদের প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে শিশুদের মেজাজ খিটমিটি হয়ে যায়। খাবারের প্রতি অরুচি জন্মে এবং জ্বর জ্বর অনুভূতি হয়।

প্রস্রাবে ইনফেকশন কেন হয়

ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হাওয়াকে প্রসাবে ইনফেকশন বলা হয়। ই. কোলাই নামক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের বিস্তার লাভের জন্য প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়ে থাকে। আমাদের প্রস্রাবের নালী কিডনি, ইউরেটার, ব্লাডার, ইউরেথ্রা এই চারটি অংশ দিয়ে গঠিত হয়েছে। ইউরেটার কিডনি থেকে ব্লাডার পর্যন্ত প্রস্রাব নিয়ে যায়। এই প্রস্রাব ব্লাডারে জমা হয়ে থাকে। ইউরেকা শরীর থেকে প্রস্রাব বের করে দিতে সাহায্য করে। এই চারটি অংশ যেকোনো একটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়।

আমরা যদি পর্যাপ্ত পরিমানে প্রতিদিন পানি পান না করে থাকি তাহলে খুব সহজেই আমাদের প্রস্রাবের নালীতে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে। এছাড়াও অনেকেই প্রস্রাবের বেগ আসলে প্রস্রাব চেপে রাখে। প্রস্রাব চেপে রাখার কারণে প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়। অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার করার কারণেও প্রস্রাবে ইনফেকশন হতে পার। এছাড়াও ইমিউনিটি সিস্টেম দুর্বল হওয়ার কারণেও প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়ে থাকে। অনিরাপদ ভাবে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়ে থাকে। প্রসবের স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকার কারণে ও প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়ে থাকে।

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এই সময় সতর্কতা অবলম্বন করা গর্ভবতী মা এবং পেটের বাচ্চার জন্য খুবই জরুরি। সবকিছুতেই সতর্ক না থাকলে গর্ভবতী মা এবং পেটের বাচ্চা উভয় এর জন্য ক্ষতিকর। অনেক সময় গর্ভবতী মায়ের প্রস্রাবে ইনফেকশন এর সমস্যা সৃষ্টি হয়। আজকে গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ সমূহ আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ কলা খাওয়ার ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা-অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের প্রস্রাবের বেগ এমনিতেই সব সময় বেশি আসে। তবে যদি প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে প্রস্রাবের বেগ আরও বেশি ঘন ঘন দেখা যায়।
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের যদি প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা হয়। তাহলে গর্ভবতী মা প্রস্রাব করার সময় অতিরিক্ত ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া অনুভব করে।
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের যদি প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা হয়। তাহলে গর্ভবতী মা তলপেটে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা এবং অস্বস্তি অনুভব করে।
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের যদি প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা হয়। তাহলে গর্ভবতী মায়ের প্রস্রাবের তীব্রভাবে বেগ আসে। কিন্তু প্রস্রাব খুবই অল্প পরিমাণে হয়ে থাকে।
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের যদি প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা হয়। তাহলে গর্ভবতী মায়ের সব সময় জ্বর জ্বর অনুভব হয়।
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের যদি প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা হয়। তাহলে গর্ভবতী মায়ের শরীরের তাপমাত্রা সব সময় অতিরিক্তভাবে বাড়তে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের যদি প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা হয়।তাহলে  গর্ভবতী মায়ের সব সময় বমি বমি ভাব দেখা দেয়।
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের যদি প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা হয়। তাহলে অনেক সময় গর্ভবতী মায়ের প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হতে দেখা যায়।
  • গর্ভাবস্থায় এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যেয়ে চিকিৎসা করতে হবে।

গর্ভাবস্থায়  প্রসাবে ইনফেকশন হলে করণীয়

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে । গর্ভাবস্থায় ইনফেকশনের লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। গর্ভবতী মায়ের প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে করণীয় সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব।

গর্ভাবস্থায়-প্রস্রাবে-ইনফেকশন-হলে-করণীয়

  • প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এটি গর্ভবতী মায়ের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ।
  • প্রস্রাবের বেগ আসলে কখনোই আটকে রাখা উচিত নয়। প্রস্রাবের বেগ আসলে তাড়াতাড়ি প্রস্রাব করতে হবে।
  • প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
  • প্রস্রাব করার পরে ভালোভাবে প্রস্রাবের স্থান পরিষ্কার করতে হবে।
  •  নিয়মিত ডাবের পানি পান করার চেষ্টা করতে হবে।
  • অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অতিরিক্ত ঝাল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অতিরিক্ত লবণ জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করুন।
  • ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

প্রসাবে ইনফেকশন কাদের বেশি হতে দেখা যায়

প্রস্রাবে ইনফেকশন নারী-পুরুষ, প্রাপ্তবয়স্ক - অপ্রাপ্তবয়স্ক, এমনকি শিশুদেরও হয়ে থাকে। তবে প্রস্রাবে ইনফেকশন সবচেয়ে নারীদের বেশি হতে দেখা যায়। মহিলাদের প্রস্রাবের নালী পুরুষের চেয়ে অনেকটাই ছোট। এছাড়াও প্রস্রাবের নালী এবং যৌনপথ কাছাকাছি হওয়ার কারণে ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই আক্রান্ত করতে পারে। এই জন্যই মহিলাদের বেশি প্রস্রাবে ইনফেকশন হতে দেখা যায়। তবে পুরুষেরাও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। একবার যদি পুরুষেরা আক্রান্ত হয়। তবে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা প্রয়োজন হয়ে থাকে। 

ডায়াবেটিস রোগী, বৃদ্ধ, শিশু এরা বেশি প্রস্রাবে ইনফেকশনে সমস্যায় ভুগে থাকে। বৃদ্ধ ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় খুব সহজেই প্রস্রাবে ইনফেকশন হতে দেখা যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেশি হলে প্রস্রাবে ইনফেকশনের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। শিশুরা যদি টয়লেট ব্যবহার করার সময় অসাবধান হয় এবং অনিয়মিতভাবে প্রস্রাব করে। তাহলে শিশুদের প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয়। প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণগুলো দেখা গেলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং ঘরোয়া যেসব উপায় রয়েছে। সেগুলো ভালোভাবে মেনে চলতে হবে। তাহলে প্রস্রাবে ইনফেকশন এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না

প্রস্রাবে ইনফেকশন নারী অথবা পুরুষ উভয়েরই হতে পারে। প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে সঠিক পদক্ষেপ মেনে চললে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা হলে কিছু খাবার রয়েছে । যেই খাবারগুলো হাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়। কারণ এইসব খাবারগুলো খেলে প্রস্রাবের ইনফেকশনের সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না?

  • সফট ড্রিংক, কফি, চা ইত্যাদি ক্যাফিন যুক্ত পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অতিরিক্ত মসলা এবং ঝাল যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অতিরিক্ত লবণ জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ফাস্টফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • কৃত্রিম রঙযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • আইসক্রিম বা ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয়

প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্য সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে এবং সঠিক পদক্ষেপ অনুযায়ী চলতে হবে । তাহলে প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কিছু খাবার রয়েছে। যেই খাবারগুলো খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয়? সেই সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ ছেলেরা তেঁতুল খেলে কি হয়? তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

  • প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
  • ডাবের পানি পান করতে হবে।
  • ক্র‍্যানবেরি জুস খাওয়া প্রচুর উপকারী।
  • প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার এবং দই খাওয়া খুবই উপকারী।
  • ধুন্দল, লাউ, পালং, সবুজ শাকসবজি জাতীয় খাবার খাওয়া প্রচুর উপকারী।
  • আপেল, শসা, তরমুজ ইত্যাদি ফলমূল খাওয়া প্রচুর উপকারী।
  • ধনে এবং মেথি ভেজানো পানি পান করা প্রচুর উপকারী।
  • আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া প্রচুর উপকারী
  • হালকা তরজাতীয় খাবার খাওয়া প্রচুর উপকারী।

কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত

প্রস্রাবে ইনফেকশন ঘরোয়া উপায়ে ভালো হয়ে যায়। তবে ঘরোয়া উপায়ে যদি প্রস্রাবে ইনফেকশন ভালো না হয়। তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চললে প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। অনেকেই বুঝতে পারেন না কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা হলে কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত?

কখন-ডাক্তারের-কাছে-যাওয়া-উচিত

  • প্রস্রাব করার সময় ব্যাথা এবং জ্বালাপোড়া বোধ হলে।
  • তলপেটে ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব হলে।
  • ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আশা বা প্রস্রাব হলে।
  • প্রস্রাব করার পরেও প্রস্রাব আবার তীব্রভাবে প্রস্রাবের বেগ  অনুভব হলে।
  • প্রস্রাবের রং গাঢ় বা ঘোলা হলে।
  • প্রস্রাব দুর্গন্ধযুক্ত হলে।
  • প্রস্রাবে রক্ত দেখতে পাওয়া গেলে।
  • জ্বর জ্বর এবং শরীর দুর্বল অনুভব হলে।
  • পিঠে বা কোমরে ব্যথা অনুভব হলে।
  • প্রস্রাবের পরে মূত্রথলিতে প্রস্রাবের উপস্থিতি অনুভব হলে।

উপসংহার (প্রসাবে ইনফেকশন দূর করার ১২ টি ঘরোয়া উপায় - ইনফেকশনের লক্ষণ)

প্রসাবে ইনফেকশন দূর করার ১২ টি ঘরোয়া উপায় - ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। শুধু ইনফেকশন দূর করার উপায় নয়। ইনফেকশনের লক্ষণ ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দিলে করনীয় আরো বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে এইসব  বিষয়ে আপনি বিস্তারিত  ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। আপনি ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চললে প্রস্রাবে ইনফেকশন এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এরপরও যদি প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা থেকে মুক্তি না পাওয়া যায়। তাহলে ডাক্তারের পরামর্শে নিন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন। ইনশাআল্লাহ আপনি প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাম্ভ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url