আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক চাপ মোকাবেলা করার কৌশল
আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক চাপ মোকাবেলা করার কৌশল সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমরা সবাই আমাদের জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আবেগে পড়ে যায়। কখনো কখনো কষ্টে, রাগে, দুশ্চিন্তায় আমাদের মন খারাপ হয়ে থাকে। এর ফলে আমাদের মানসিক চাপ বাড়ে।
মানসিক চাপ ও আবেগ একটু সতর্ক থাকলে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়ে থাকে। জীবনের বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখতে হবে। ধৈর্য সহকারে সকল কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করে নিজেকে সামলে নিতে হবে। এই আর্টিকেলটিতে আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক চাপ মোকাবেলা করার কৌশল আলোচনা করব।
পেজ সূচিপত্রঃ আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক চাপ মোকাবেলা করার কৌশল
- আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক চাপ মোকাবেলা করার কৌশল
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ কৌশল
- মন খারাপ হলে নিজের মন ভালো রাখার কৌশল
- পরিবার এবং কাজের চাপের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল
- রাগ কমানোর জন্য কিছু সহজ নিয়ম ও কৌশল
- মানসিক শান্তি বজায় রাখতে সময় ম্যানেজমেন্টের গুরুত্ব
- হতাশা এবং একাকীত্ব কাটানোর জন্য সহজ কৌশল
- সচেতন জীবন যাপনের মাধ্যমে মানসিক চাপমুক্ত থাকার কৌশল
- খারাপ চিন্তা দূর করে ভালো মনোভাবের কৌশল
- লেখকের শেষ কথা (আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক চাপ মোকাবেলা করার কৌশল)
আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক চাপ মোকাবেলা করার কৌশল
আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক চাপ মোকাবেলা করার কৌশল সম্পর্কে অনেক মানুষ জানতে চেয়ে থাকেন। প্রত্যেক মানুষের জীবন এক রকম নয়। একেক মানুষের জীবন একেক রকম। অনেকেই কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষ খুব সহজেই হতাশ হয়ে ভেঙে পড়ে যান। এর ফলে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। মানসিক চাপের কারণে মন সব সময় খারাপ থাকে। কোন কিছুই ভালো লাগেনা। এই মানসিক চাপ কমাতে প্রথমে নিজের জন্য সময় বের করতে হবে। মুক্ত এবং সতেজ পরিবেশে যেয়ে সময় কাটাতে হবে। এর ফলে নিজের মন অনেকটা ভালো হবে। এরপর নিজেকে ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। নিজের সকল আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
আবেগ আছে বলে আমরা দুঃখ,কষ্ট, হাসি, খুশি,আনন্দ, সুখ, হতাশা সবকিছু অনুভব করতে পারি। আমাদের আবেগের কখনোই চেপে রাখা উচিত নয়। আপনার হাসি পেলে হাসবেন। দুঃখ কষ্ট অনুভব হলে কাঁদবেন। রাগ হলে যথা সম্ভব নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখবেন। নিজের সকল অনুভূতি নিজের প্রিয়জনের কাছে প্রকাশ করবেন। এতে অনেক মানসিক চাপ কমে। নিজেকে অনেক হালকা অনুভব হয়। নিজেকে ভালো রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। মোটিভেশনাল বই পড়ুন। ইসলামিক বই পড়ুন। প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরুন। এইসব পদক্ষেপ গুলো আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে আপনার মন ভালো রাখে। ফলে আপনি অনেক শান্তি অনুভব করবেন।
সকল কঠিন এবং খারাপ পরিস্থিতিতে আপনার আপন জনের সঙ্গে সবকিছু খুলে আলোচনা করুন। আপনজনের সঙ্গে সবকিছু খুলে বলার কারনে মানসিক চাপ অনেকটা কমে যায়। কারণ প্রিয়জনরা তখন আপনার কঠিন পরিস্থিতিতে আপনার পাশে দাঁড়ায়। আপনাকে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে উৎসাহ প্রদান করে। এর ফলে আপনি সকল পরিস্থিতিতে ঠান্ডা মাথায় ধৈর্য সহকারে পদক্ষেপ নিতে পারেন। সকল কঠিন পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে ভেঙ্গে না পড়ে। নিজেকে বুঝুন, নিজেকে সময় দিন। সকল বিষয়গুলো একান্ত বিশ্বাস গত ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মোকাবেলা করুন। নিজের আবেগ নিজেকে বোঝার ফলে এবং নিজেকে সময় দেওয়ার ফলে আপনার আবেগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে আপনি মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ কৌশল
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করব। এমন অনেক মানুষ আছে যাদের মাথায় অনেক চিন্তা ঘুরপাক খায়। কিভাবে টাকা পয়সা আয় করে নিজের ক্যারিয়ার উন্নত করব? মানুষের মতামত নিয়েও চিন্তিত থাকে। আমি এই কাজ করলে মানুষ কি ভাববে? ছোট ছোট বিষয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। ফলে তাদের ভালোভাবে ঘুম হয় না। তারা মানুষকে অশান্তিতে ভুগে থাকে। যারা টাকা নিয়ে চিন্তিত। তারা নিজের জন্য একটি ভাল কাজ নির্বাচন করে দক্ষতা অর্জন করুন। এরপর সেই ধৈর্য সহকারে কাজ করুন। মানুষ কি ভাববে? এই বিষয়টা মাথায় থেকে একবার বের করে দিন। মানুষ কখনো আপনাকে এক টাকা দিয়েও সাহায্য করবে না। কিন্তু আপনার দোষ ত্রুটিগুলো আপনাকে সব সময় দেখিয়ে দিবে।
আপনি এগুলো শুনে হতাশ না হয়ে আপনার দোষ ত্রুটিগুলো দেখে নিজেকে শুধরে নিয়ে ভালোভাবে জীবন যাপন করুন। আপনি যদি অতিরিক্ত মানসিক চাপে ভুগে থাকেন। তাহলে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি আপনার নিজের জন্য একান্ত সময় বের করুন। সেই সময়টুকু আপনি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকুন। নিজেকে হাসি খুশি রাখার চেষ্টা করুন। অপ্রয়োজনীয় সকল চিন্তা মাথা থেকে বের করে দিন। মোটিভেশনাল বইগুলো পড়ুন। যে বইগুলো পড়লে আপনি সহজেই হতাশ হবেন না। বরং নিজেকে কিভাবে ভেঙে পড়া থেকে প্রতিরোধ করতে পারবেন তা বুঝতে পারবেন। প্রত্যেকটি পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতির মোকাবেলা করুন। যেকোনো খারাপ পরিস্থিতিতে বা দুশ্চিন্তায় হতাশ হয়ে ভেঙে না পড়ে সব সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করুন।
তারপর সেই পরিস্থিতিতে নিয়ে একটু ভালোভাবে ভাবুন। প্রয়োজনে আপনার আপনজনদের সঙ্গে সেই পরিস্থিতিতে নিয়ে আলোচনা করুন। তারা আপনারকে ভালো পরামর্শ দিবে। আপনার পাশে থেকে আপনাকে ভরসা দেবে। অযথা অতিরিক্ত চিন্তা করে কোন লাভ নেই বরং আপনারই ক্ষতি। তাই আল্লাহ তাআলার উপর বিশ্বাস রাখুন। ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী জীবন যাপন করুন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন। আল্লাহর কাছে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যেসব আমল রয়েছে সেসব আমলগুলো করুন। দেখবেন আপনি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন।
মন খারাপ হলে নিজের মন ভালো রাখার কৌশল
মন খারাপ হলে নিজের মন ভালো রাখার কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করব। মন খারাপ হওয়া একটি স্বভাবিক বিষয়। যেকোনো কারণে আমাদের মন খারাপ হয়ে যেতে পারে। হয়তো কেউ আপনাকে অপমানজনক কোন কথা বলেছে। অতীতের কোন খারাপ স্মৃতি মনে পড়েছে। আপনার সাথে কোন খারাপ কিছু হয়েছে। এসব বিষয়গুলোর কারণে আমাদের মন খারাপ হয়ে থাকে। এর ফলে আমাদের বুক ধরফর করে। নিজের মাঝে আমরা শূন্যতা অনুভব করি। কোন কিছুই ভালো লাগে না। মনে হয় কি করলে ভালো লাগবে? কোথায় গেলে ভালো লাগবে? এসব বিষয় চিন্তা করে থাকি।
আপনার যদি মন খারাপ হয় তাহলে আপনি একা একা না থেকে আপনজনদের সঙ্গে সময় কাটান। তাদের সাথে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। যে বিষয় নিয়ে আপনার মন খারাপ। সেই বিষয়টি তাদের সাথে শেয়ার করুন। দেখবেন নিজেকে অনেকটা হালকা অনুভব হয়। মন খারাপ অনেকটাই কমে যায়। এছাড়াও প্রাকৃতিক ভালো স্থানগুলোতে ঘুরুন। দেখবেন মনটা অনেক সতেজ হয়ে গেছে। এছাড়াও আপনি ইসলামিক বই পড়তে পারেন। ইসলামিক বই পড়ার কারণে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। নিজের জন্য একান্ত সময় বের করুন। একা একা একটু হাঁটুন। একা একা নিজের সাথে নিজের মন খারাপ নিয়ে কথা বলুন। কেন মন খারাপ করছে? এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবুন। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা নিজের মাথা থেকে বের করে দিন। নিজেকে কখনোই দুর্বল ভাববেন না। মনে রাকখবেন সব সময় আল্লাহ আপনার সাথে আছে এবং নিজেকে সবসময় ভালোবাসুন।
পরিবার এবং কাজের চাপের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল
পরিবার এবং কাজের চাপের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করব। পরিবার কাজের চাপ এবং অন্যান্য সকল বিষয় একসাথে সামলানো অনেক বড় একটি বিষয়। সংসারের সকল দায়িত্ব পালন করা। কাজের স্থানের সকল কাজ সঠিকভাবে করা। এসব একসাথে দায়িত্ব পালন করতে করতে অনেক সময় আমরা হতাশ হয়ে ভেঙ্গে পড়ি। যখন কাজের চাপ বেড়ে নিজের মন মেজাজ অতিরিক্ত খিটমিটে হয়ে যায়। তখন নিজের মেজাজ ঠিক করার জন্য নিরিবিলি পরিবেশে কয়েকবার গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।
আরো পড়ুনঃ কলা খাওয়ার ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা-অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের মত চোখ বন্ধ করে চুপচাপ থাকুন। দেখবেন মন অনেকটা ভালো হয়ে গেছে। নিজের ওপর অতিরিক্ত কাজ চাপাবেন না। বরং আপনি যতটুকু কাজ সামলাতে পারবেন ততটুকু কাজ করুন। পরিবারের আপনজনের সাথে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন। এর ফলে মাথা ঠান্ডা হয় এবং মন অনেক ভালো থাকে। আল্লাহর উপর সব সময় ভরসা রাখুন। নিজেকে কখনো ছোট ভাববেন না। নিজেকে বুঝতে শিখুন। নিজেকে ভালোবাসুন। দেখবেন ধীরে ধীরে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এর ফলে আপনার জীবনটা অনেক সহজ মনে হবে।
রাগ কমানোর জন্য কিছু সহজ নিয়ম ও কৌশল
প্রত্যেক মানুষেরই রাগ হয়। কেউ কেউ খুবই রগ চটা থাকে। কেউ কেউ নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আবার কেউ নিজের রাগে নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে পারে। যদি রাগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হয়ে থাকে। তবে সেটি আমাদের জন্য খুবই ভয়ংকর হতে পারে। কারণ রাগের মাথায় আমরা যেকোনো খারাপ কথা বলে ফেলি বা যেকোনো খারাপ কাজ করে ফেলি। যা পরে ঠিক করা আর সম্ভব হয়ে থাকে না। এর ফলে আমরা আফসোস করতে থাকি। তাই অবশ্যই আমাদের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আপনার যদি প্রচন্ড রাগ উঠে যায়। তাহলে আপনি চুপ থাকার চেষ্টা করুন।
তারপরে গভীরভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিন। যতক্ষণ রাগ নিয়ন্ত্রণে না আসে আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম পড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। নিরিবিরি পরিবেশে কিছুক্ষণ সময় কাটান। পরিবেশ বদল আমাদের রাগ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিজেকে ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজের সমস্যা বুঝে পদক্ষেপ নিন। নিজের মনের মধ্যে কখনোই রাগ চেপে থাকবেন না। কারণ রাগ মনের মধ্যে পুষে রেখে আপনার মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে। আপনি ভুল করে ফেলতে পারেন। যা আপনার জন্য অমঙ্গল বয়ে আনতে পারে। তাই আপনি নিজের মনের মধ্যে রাগ পুষে না থেকে ক্ষমা করে দিতে শিখুন। এর ফলে আপনার নিজেকে অনেকটা হালকা মনে হবে।
মানসিক শান্তি বজায় রাখতে সময় ম্যানেজমেন্টের গুরুত্ব
আমাদের জীবনে সময়ের সঠিকভাবে ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সময়ের সদ্ব্যবহার করতে না পারেন। তাহলে জীবনে কখনো উন্নতি করতে পারবেন না। কারণ একবার সময় চলে গেলে সেই সময় আর কখনো ফিরে আসে না। অনেকেই সময়ের সঠিক ব্যবহার না করে কাজ করে। এর ফলে কাজ ঠিকঠাক ভাবে করতে পারেনা। বরং নিজের মধ্যে চাপ সৃষ্টি হয়।চাপ সৃষ্টি হওয়ার ফলে মানসিক শান্তি নষ্ট হয়ে যায়।মানসিক শান্তি বজায় রাখতে সময় ম্যানেজমেন্টের গুরুত্ব অপরিহার্য।
আপনি কোন সময়ে কোন কাজ করবেন তা ভাগ রুটিন তৈরি করুন। সেই রুটিন অনুযায়ী কাজ সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করুন। অযথা সময় নষ্ট করবেন না।অযথা সময় নষ্ট করার ফলে আপনি সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে পারবেন না। নিজের জন্য কিছু সময় নির্ধারণ করে রাখুন। সেই সময়ে নিজেকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করুন। পরিবারের সাথে ভালো সময় কাটান। একটু হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করুন। দেখবেন আপনার মন ভালো থাকবে এতে আপনি অনেক মানসিক শান্তি পাবেন।
হতাশা এবং একাকীত্ব কাটানোর জন্য সহজ কৌশল
কখনো কখনো আমাদের নিজেকে খুব একা মনে হয়।আমাদের আশেপাশে অনেক মানুষ থাকা সত্ত্বেও একাকীত্ব অনুভব হয়। একাকীত্ব অনুভব হওয়ার ফলে আমাদের ভেতরে হতাশা সৃষ্টি হয়। আমরা ভেঙে পড়ি। হতাশা এবং একাকীত্ব কাটানোর জন্য অবশ্যই পরিবারের আপনজনদের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে। পরিবারের প্রিয়জনদের সাথে নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে হবে। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারলে নিজেকে অনেকটা হালকা অনুভব হয়।
নতুন নতুন কিছু কাজ শেখার চেষ্টা করুন। কাজ শিখার ফলে আপনার ভেতরে সেই কাজটি করার আগ্রহ জন্মাবে।ফলে আপনার হতাশা এবং একাকীত্ব অনেকটা কমবে। প্রাকৃতিক পরিবেশে পরিবারের সাথে ঘুরে বেড়াতে পারেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ এবং পরিবারের সাথে সুন্দর সময় কাটানোর ফলেও হতাশা এবং একাকীত্ব কমে। আল্লাহ ওপর সব সময় বিশ্বাস রাখতে হবে। নিজের জন্য সময় বের করে নিজেকে বুঝতে হবে নিজেকে ভালোবাসতে হবে।
সচেতন জীবন যাপনের মাধ্যমে মানসিক চাপমুক্ত থাকার কৌশল
জীবন মানেই সংগ্রাম। আপনি ভালোভাবে জীবন যাপন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কাজ করতে হবে। নিজের ভালো ক্যারিয়ার গড়তে হবে। নিজের ভালো ক্যারিয়ার গড়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে সচেতন ভাবে জীবন যাপন করতে হবে। সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। সময়ের মধ্যেই সকল কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করতে হবে। নিজেকে সৎ রাখতে হবে। সৎ ভাবে কাজ করতে হবে। সকল কঠিন পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে ভেঙ্গে না পড়ে ধৈর্য সহকারে বুঝে শুনে পদক্ষেপ নিতে হবে।অনেকেই ভবিষ্যতের চিন্তায় বর্তমান সময়টাকে নষ্ট করে দেয়। বর্তমান সময়কে নষ্ট না করে উপভোগ করতে হবে।নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে হবে। পরিবারের সাথে ভালো মুহূর্ত কাটাতে হবে। এগুলোর মাধ্যমে আমাদের মানসিক চাপ অনেকটাই কমে।
আরো পড়ুনঃ সিজারের পরে পেটের দাগ কমানোর সকল উপায় - ঘরোয়া টোটকা
নিজের শরীরের ও নিজের মনের চাহিদা সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন হবে। আপনার শরীর যদি ক্লান্ত হয়ে থাকে। তবে অবশ্যই আপনার শরীরকে বিশ্রাম দিতে হবে। এছাড়াও আপনার যদি মন খারাপ হয়ে থাকে। তবে অবশ্যই নিজের মন ভালো করার জন্য পছন্দ অনুযায়ী কিছু সময় উপভোগ করতে হবে। সকলের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে। নিজেকে ভালো মানুষ রুপে গড়ে তুলতে হবে। খারাপ মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করে ভালো মানুষের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতে হবে। তাদের সাথে গল্প গুজব করার মাধ্যমে আপনি ভালো সময় কাটাতে পারেন। সচেতন ভাবে জীবন যাপনের মাধ্যমে আপনি মানসিকভাবে অনেক শান্তি পাবেন। আপনার মন অনেক প্রফুল্ল থাকবে। মানসিক শান্তির জন্য অবশ্যই আপনাকে সচেতন ভাবে জীবন যাপন করতে হবে।
খারাপ চিন্তা দূর করে ভালো মনোভাবের কৌশল
আমাদের মনে অনেক সময় খারাপ বা নেগেটিভ চিন্তা চলে আসে। মনে হয় জীবনে কি করলাম? জীবনে কোন কিছুই অর্জন করতে পারলাম না। নিজের ভিতরে হতাশার সৃষ্টি হয়ে জীবনটা ব্যর্থ এবং অর্থহীন মনে হয়।এইসব চিন্তা গুলো মাথায় ঘুরতে থাকে। অবশ্যই নন এসব খারাপ চিন্তা মাথা থেকে বের করে ভালো মনোভাব তৈরি করতে হবে। আপনার নিজের খারাপ মনোভাব বদলাতে হবে। নিজেকে নিজে উৎসাহ দিতে হবে। নিজের মনকে বলতে হবে ইনশাআল্লাহ আমি পারবো, আমাকে পারতেই হবে, আমাকে সাফল্য অর্জন করতেই হবে। নিজেকে নিজের উপর ভরসা করতে হবে। সবসময় ভালো কাজ করার চেষ্টা করতে হবে।
নিজেকে সৎ রাখতে হবে। নিজের মধ্যে ইসলামিক মনোভাব তৈরি করতে হবে। ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। রোজা রাখতে হবে। সামর্থ্য থাকলে হজ আদায় করতে হবে। নিসাব পরিমাণ অর্থ থাকলে যাকাত প্রদান করতে হবে। নিসাব পরিমাণ অর্থ না থাকলেও দান-খয়রাত করতে হবে। সকল মানুষকে ভালবাসতে হবে। আল্লাহর উপর সবসময় বিশ্বাস রাখতে হবে। আল্লাহকে ভালবাসতে হবে। আল্লাহর আদেশ এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেখানো পথে চলতে হবে। এগুলো করার মাধ্যমে আমাদের মনে খারাপ চিন্তা দূর হয়ে ভাল মনোভাব তৈরি হয়।
লেখকের শেষ কথা (আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক চাপ মোকাবেলা করার কৌশল)
এই আর্টিকেলটিতে আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক চাপ মোকাবেলা করার কৌশল সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এসব বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। প্রত্যেকেরই জীবনে সুখ, হাসি, আনন্দ, দুঃখ, কষ্ট, বিভিন্ন দুশ্চিন্তা, রাগ, হতাশা আছে। কেউই এসব থেকে মুক্ত নয়। তবে সকল কঠিন পরিস্থিতিতে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ধৈর্য সহকারে সকল পরিস্থিতি বুঝে ঠান্ডা মাথায় পদক্ষেপ নিতে হবে।
তাহলে আপনি খুব সহজেই সকল কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবেন। এর ফলে আপনার মানসিক চাপ কমবে। এছাড়াও ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী জীবন যাপন করুন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন। রোজা রাখুন। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখু।ন নিজেকে ফ্রেশ এবং সতেজ রাখতে নিজের জন্যএকটু সময় বের করুন। প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরে বেড়ান। এতে মানসিক চাপ কমে। মন অনেক সতেজ ও ভালো থাকে। পরিবারের সকলের সাথে সময় কাটান। দেখবেন আপনার মানসিক চাপ অনেকটাই কমে গেছে।
আরাম্ভ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url