বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এই বিষয়ে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বর্তমানে বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে চাহিদা সম্পূর্ণ সেক্টর গুলোর মধ্যে সবার প্রথমে অবস্থান করছে ডিজিটাল সার্ভিস এবং টেকনোলজি সম্পৃক্ত খাতগুলো বর্তমান সময়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর সাইটগুলোতে আপনি দক্ষতা অর্জন করে ভালো ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন।
পেজ সূচিপত্রঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
- বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
- বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫
- ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করার গুরুত্বপূর্ণ দিগুলো কি
- ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর তালিকা
- ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি
- ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কততম
- ফ্রিল্যান্সিং এ টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি
- মার্কেটপ্লেস অনুযায়ী চাহিদা কোনটি
- ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বায়ার কাকে বলা হয়
- লেখক এর শেষ কথা (বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি)
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টরগুলো খুবই জনপ্রিয়। কারণ ফ্রিল্যান্সিং শিখে ভালোভাবে কাজের দক্ষতা অর্জন করে মানুষ নিজের উন্নত মানের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। এর ফলে নিজেকে একজন সফল ব্যক্তিকে রূপান্তরিত করতে পারছে। এই আর্টিকেলটিতে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডে বলছে সেক্টর কোনটি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।
আরো পড়ুনঃ ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার নতুন উপায় ২০২৫
- ডিজিটাল মার্কেটিংঃ বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রত্যেকটি ব্যবসাতে অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, এসইএম, এসইও ইত্যাদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল রকম কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করে থাকে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টরের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা প্রচুর।
- ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টরের মধ্যে ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রচুর ডিমান্ডেবল ও জনপ্রিয়। যারা ওয়েব ডেভলপ এর কাজ করে থাকে তারা ই-কমার্স সাইট, ওয়েবসাইট, ব্লগ, ওয়েব এপ্লিকেশন ও অন্যান্য প্রজেক্ট গুলো তৈরি করতে, উন্নত ও রক্ষণাবেক্ষণ এর সকল রকম কাজ করে থাকে। ওয়েব ডিজাইনারগুলো প্রযুক্তির সঙ্গে খুব সহজে মিশে অন্যকে খুবই সুন্দর করে তোলে।
- গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টরের মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন অন্যতম। গ্রাফিক্স ডিজাইনের সাহায্যে এনিমেশন তৈরি, ব্র্যান্ডিং লোগো তৈরি, বিভিন্ন গ্রাফিক্স ও ভিডিও পরিচালনা করে নানা রকম ডিজাইন তৈরি করতে পারে।
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টঃ সফটওয়্যার ডেভলপারগুলো ডেটা ব্যবস্থাপনা, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ওয়েব এপ্লিকেশন এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রজেক্ট তৈরি করার কাজ করে থাকে।
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ও ভাইরাল মার্কেটিংঃ কোন সার্ভিস অথবা প্রোডাক্ট ভাইরাল করার জন্য এই সেক্টরগুলোর সোশ্যাল মিডিয়া ও দক্ষ মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট করা যেতে পারে।
- টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও সার্ভিসেসঃ এই সেক্টরটিতে ফ্রিল্যান্সাররা সাইবার থেকে সিকিউরিটি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট সিস্টেম এড মিনিস্ট্রেশন এর সকল রকম টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও সার্ভিসেস দিয়ে থাকে।
- কপিরাইটিং ও কনটেন্ট ক্রিয়েশনঃ বর্তমানে কপিরাইটিং ও কনটেন্ট ক্রিয়েশন এর চাহিদা প্রচুর রয়েছে। বর্তমানে এই বিষয়ে দক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন কোম্পানির ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ও অন্যান্য বিভিন্ন প্রচারের কাজ করার জন্য কপিরাইটার ও কনটেন্ট রাইটারদের নিয়োগ দিয়ে থাকে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫
বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টরগুলোতে কাজ করা খুবই জনপ্রিয়। তবে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ২০২৫ এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকে। তাদের উদ্দেশ্যে বলবো আমি মনে করি বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং। অনলাইন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য ক্রায় বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন প্রচার করাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
বর্তমান পৃথিবীর অগ্রগতি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির কারণে পৃথিবী অনলাইন ভিত্তিক হয়ে পড়ছে। মানুষ ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় বিক্রয় করছে। মার্কেটে যেয়ে বা দোকানে কেনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। কেননা ঘরে বসেই সব রকমের পণ্য সার্ভিস পাচ্ছে। যেমনঃ জামা - কাপড়, বিভিন্ন রকমের খাদ্য, বই - খাতা, কলম, সকল রকমের রূপচর্চার প্রোডাক্ট ইত্যাদি যেকোনো কিছুই ঘরে বসে মানুষ ক্রয় করতে পারছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচার করে ব্যবসার প্রসার অনেক বেশি হচ্ছে। কেননা ডিজিটাল মার্কেটিং করে প্রত্যেক ঘরে ঘরে ব্যবসার সকল রকমের প্রোডাক্টের তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে। ঘরে বসে মানুষ সেই প্রোডাক্টগুলোর সকল রকম তথ্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে জেনে নিজের পছন্দ অনুযায়ী প্রোডাক্ট কিনতে পারছে। বর্তমানে প্রত্যেকটি ব্যবসার উন্নতি করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে আরো অনেকগুলো কাজ রয়েছে যা আমরা এই আর্টিকেলটি আলোচনা করেছি। তবে আমার কাছে মনে হয় ডিজিটাল যুগে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বেশি।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো কি
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যারা কাজ করে থাকে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। এই দিকগুলো ফ্রিল্যান্সারদের ক্যারিয়ার উন্নত করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। এই দিকগুলো ভালোভাবে মেনে কাজ করলে একজন ফ্রিল্যান্সার অনেক বেশি আয় করতে পারে এবং নিজেকে সফল ব্যক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারে। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো কি?
- উদ্দেশ্য নির্ধারণঃ অবশ্যই প্রথমে আপনাকে উদ্দেশ্য সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। আপনি কোন বিষয়ে কাজ করতে চান? আপনি এই বিষয়ে কাজে কতটুকু সময় দিয়ে কাজ করতে পারবেন? আপনি পার্ট টাইম না ফুলটাইম কাজ করবেন। শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করে নিজের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ে তুলবেন। এসব বিষয়গুলো ভালোভাবে নির্ধারণ করে নিতে হবে।
- বিষয় নির্বাচনঃ লক্ষ্য নির্বাচন করার পরে অবশ্যই আপনাকে কোন বিষয়ে কাজ করবেন সে বিষয়টি নির্বাচন করতে হবে।
- দক্ষতা অর্জন করাঃ আপনার পছন্দ ও ইচ্ছা অনুযায়ী এবং বর্তমান বাজারে যে সেক্টরটি ডিমান্ডেবল প্রথমে একটি ফ্রিল্যান্সিং এর সাইট বা প্লাটফর্ম নির্বাচন করুন। তারপরে সেই নির্দিষ্ট কাজের ওপর প্রশিক্ষণ টিউটোরিয়াল বা অনলাইন কোর্স করে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করুন।
- অনলাইন প্রোফাইল তৈরি করাঃ একটি ভালো মানের অনলাইন প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এরপর সে প্রোফাইলে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা, কাজের সকল রকম উদাহরণ ও তথ্য সেই প্রোফাইলের মধ্যে রাখতে হবে। যেমনঃ ফ্রিল্যান্সার ডট কম, ফাইবার, আপওয়ার্ক ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন।
- সময়ের সঠিক ব্যবহারঃ ফ্রিল্যান্সিং করার অন্যতম একটি দিক হল সময়ের সঠিক ব্যবহার করা। নির্দিষ্ট ও সঠিক সময়ের ভিতরে আপনার কাজগুলো সম্পূর্ণ করে জমা দিতে হবে।
- গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনঃ গ্রাহকের সঙ্গে স্পষ্ট এবং পেশাদার ভাবে যোগাযোগ করতে হবে। গ্রাহকের কথা ভালোভাবে শুনে তাদের চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে। আপনার কাজের সকল রকম তথ্য সম্পর্কে তাদের সময় মতন আপডেট জানাতে হবে।
- বিজ্ঞাপন করাঃ আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন। আপনার নিজের কাজ, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য সাইটগুলোতে বিজ্ঞাপনের সাহায্যে ভালোভাবে প্রচার করুন।
- নেটওয়ার্কিংঃ অন্যান্য পেশাদার ফ্রিল্যান্সারগুলোর সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাদের কাছ থেকে কাজের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অনলাইনে বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। তাহলে আপনি এই গ্রুপগুলোর সঙ্গে আপনার অভিজ্ঞতা এবং আপনার সমস্যা শেয়ার করতে পারবেন। ফলে আপনার সমস্যাগুলোর পাবেন ও নতুন নতুন অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
- নতুন তথ্যঃ বর্তমান যুগে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর নতুন নতুন পরিবর্তন হচ্ছে। তাই ডিজিটাল যুগে সকলের সাথে ভালোভাবে মিশে চলার জন্য প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য গুলো ভালোভাবে জানতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর তালিকা
একজন ফ্রিল্যান্সার এবং গ্রাহক একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার মাধ্যম হচ্ছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এর মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাহকেরা তাদের কাজের বর্ণনা পেশ করে থাকেন। মার্কেট প্লেসে এই বর্ণনাগুলো দেখে ফ্রিল্যান্সাররা অর্থের বিনিময়ে তাদের কাজগুলো করে দিয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং এ নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের তালিকা সম্পর্কে।
- Upwork: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে Upwork। Upwork খুবই প্রফেশনাল একটি মার্কেটপ্লেস। এখানে প্রফেশনাল বায়ার প্রচুর রয়েছে। এখানে অনেক কাজ পাওয়া যায়। আপনি যদি অনলাইনে কাজ করার জন্য দক্ষতা অর্জন করে থাকেন। তবে আপনাকে আপনার নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজ খুঁজে সেখানে এপ্লাই করার মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন। এই মার্কেটপ্লেসটিতে ঘন্টা হিসেবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করা যায়। এছাড়াও আপনি কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে আপনি সেই কাজের চার্জ নিতে পারবেন।
- Freelancer.com: বর্তমানে মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে Freelancer.com অন্যতম একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেট প্লেসটি খুবই পুরাতন একটি মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেসটিতে অনেক ফ্রিল্যান্সার কাজ করে থাকে। ১৮০০টির বেশি ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরি রয়েছে। সেই মার্কেটপ্লেসটিতে ১ কোটির বেশি জব পোস্ট রয়েছে। প্রায় ১৫ বছর ধরে Freelancer.com সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এখানে আপনি আপনি কাজ করে ঘন্টার উপর নির্ভর করে বা চুক্তি করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। এই মার্কেটপ্লেসটির সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি দিক হলো কনটেস্ট বা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। প্রতিযোগিতার আয়োজন করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে যার কাজ বায়ার পছন্দ করে সে বিজয়ী হয়। পুরস্কার হিসেবে একটি প্রজেক্টের পুরো টাকা দেওয়া হয়।
- Fiverr: বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফাইবার। এই মার্কেটপ্লেসটি নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সারদের অনেক কাজের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখে থাকেন এবং কাজ করতে আগ্রহী হন। তাহলে ফাইবার আপনার জন্য একটি ভাল মার্কেটপ্লেস হতে পারে। আপনি এখানে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো একটি কাজ নির্বাচন করে অনলাইনের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে করতে পারবেন। এই মার্কেটপ্লেসটিতে গ্রাহকেরা নিজেই তাদের দরকার অনুসারে কাজ খুঁজে ফ্রিল্যান্সারদের কাজের অর্ডার দিয়ে থাকে।
- 99 Designs: এই মার্কেটপ্লেসটিতে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সকল রকম কাজ পাওয়া যায়। এই মার্কেটপ্লেসটিতে বুক কভার ডিজাইন, প্রোডাক্ট প্যাকেজিং ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ব্যানার তৈরি ডিজাইন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ রয়েছে। এই মার্কেট প্লেসটিতে গ্রাহকেরা নিজের কাজের বিবরণ দিয়ে কাজের অফার পোস্ট করে থাকে। এই বিবরণ অনুযায়ী গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সাররা তাদের ডিজাইন জমা দিয়ে থাকে।গ্রাহক যার ডিজাইন পছন্দ করে সেই কাজটি পেয়ে থাকে এবং সেই কাজের বিনিময়ে টাকা আয় করে।
- People Per Hour: বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসগুলোর মধ্যে পিপল পার আওয়ার মার্কেটপ্লেসটি অন্যতম জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেসটি ২০১৭ সালে তাদের কাজ শুরু করে এবং শুরু থেকে এই পর্যন্ত তাদের কাজ সফলভাবে তারা করে যাচ্ছে। এখানে ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। এই মার্কেটপ্লেসটিতে ৩ মিলিয়নেরও উপরে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার কাজ করে যাচ্ছে। এই মার্কেটপ্লেসটিতে গ্রাহকের পোস্ট করা কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আপনার নিজস্ব সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি
বর্তমান যুগে ফ্রিল্যান্সিং খুবই জনপ্রিয়। ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ প্রচুর
উজ্জ্বল হবে। কারণ বর্তমান পৃথিবী অনলাইন ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির
পৃথিবী।বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে নতুন নতুন কাজের সৃষ্টি হচ্ছে যা
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সারদের
জন্য বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন মার্কেটপ্লেস তৈরি হচ্ছে। ভবিষ্যতে
ফ্রিল্যান্সিং এ দক্ষতা অর্জন করা অপরিহার্য বিষয় হবে। নতুন নতুন অনলাইন
প্ল্যাটফর্ম তৈরি হওয়ার ফলে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক কর্মক্ষেত্র তৈরি
হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম, ইউরোপের দেশগুলোর নাম ও রাজধানী
- বেকারের হার কমবেঃ ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। ফলে বেকার যুবকেরা এই প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কাজ করে জীবিকা অর্জন করতে পারবে। নিজের একটি সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবে এবং ভালো মানের টাকা উপার্জন করে উন্নত জীবন যাপন করতে পারবে। এর ফলে বেকারের হার কমবে।
- বৈদেশিক মুদ্রাঃ ফ্রিল্যান্সিং এর সাইটগুলোতে কাজ করে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক অর্জন করছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতে আরো বেশি পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে।
- প্রযুক্তির দক্ষতাঃ ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোতে কাজ করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে মানুষের প্রযুক্তির দক্ষতা প্রচুর পরিমাণে বাড়বে।
- প্রচুর অর্থ উপার্জনঃ ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে কাজ করার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। কেননা এখানে কোন নির্দিষ্ট মাসিক বেতন দেওয়া হয় না। যে বেশি দক্ষতার সাথে বেশি বেশি কাজ করতে পারবে সেই তত বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবে। নিজেকে একজন সফল ব্যক্তিকে রূপান্তরিত করতে পারবে।
- ঘরে বসে আয়ঃ ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই আয় করা সম্ভব। একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর মাধ্যমে এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে চুক্তি বা ঘন্টার উপর নির্ভর করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। একটি বিষয়ে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে ঘরে বসে কাজ করতে পারবেন। এখানে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কততম
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর গুলোতে কাজ খুবই জনপ্রিয়। লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী, বেকার যুবক, ছাত্র-ছাত্রী, গৃহিনী, এমনকি বয়স্ক মানুষও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরগুলোতে কাজ করছে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরগুলোতে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য ফ্রিল্যান্সাররা অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কততম।
আমাদের বাংলাদেশ এর লক্ষ লক্ষ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরগুলোতে প্রচুর ধৈর্য সহকারে কাজ করে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। ফ্রিল্যান্সিং এ আয় এর পরিমাণ প্রায় এক বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তরিত করলে ১০০ কোটি টাকা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং এ আয় এর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ২৯তম।
ফ্রিল্যান্সিং এ টাকা তোলার বাংলাদেশের জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি
Upwork, Freelancer.com, Fiverr, Guru.com, People Per Hour এই জনপ্রিয় মার্কেট প্লেসগুলোতে বাংলাদেশের অনেক দক্ষ ফ্রিল্যান্সার কাজ করে থাকে। এছাড়াও যারা নতুনভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখছে তারাও এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে নিজের একটি উন্নত ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। এই মার্কেটপ্লেসগুলো ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন কাজের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। এই জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে ফ্রিল্যান্সিং এ টাকা তোলার বাংলাদেশের জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো নিচে দেওয়া হলো।
- Bank Trancefer
- Pay Pal
- Payoneer
- Skrill
- Neteller
- Pay Eazy
মার্কেটপ্লেস অনুযায়ী চাহিদা কোনটি
Upwork, Freelancer.com, Fiverr ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসগুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং, কপিরাইটিং এবং কনটেন্ট ক্রিয়েশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডেটা এনালিটিক্স, ইউআইইউএক্স ডিজাইন এর চাহিদা প্রচুর। এছাড়াও রিল্যাক্সিং মার্কেটপ্লেসগুলিতে এই চাহিদাগুলি সাধারণত নানারকম কাজের প্রকারের ওপর নির্ভর করে।
আরো পড়ুনঃ দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
তবে এই ডিজিটাল যুগে সবচেয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বেশি। কেননা সকল রকম ব্যবসার উন্নতি সাধনের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্যে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। বর্তমানে সবকিছুই প্রায় অনলাইন ভিত্তিক। অনলাইনের মাধ্যমে আমরা পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ করে থাকি। এই ডিজিটাল যুগে মানুষ ঘরে বসে সবকিছু ক্রয় করতে পারে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক বেশি।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বায়ার কাকে বলা হয়
অনলাইন বা ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে নির্দিষ্ট কোন কাজ টাকার বিনিময়ে করা হয় তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। ফ্রিল্যান্সিং এর দুইটি দিক আছে। একটি হচ্ছে সেলার আর অপরটি হচ্ছে বায়ার। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বায়ার কাকে বলা হয় সেই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বায়ার কাকে বলা হয়?
যিনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কাজের বিবরণ দিয়ে থাকে তাকে বায়ার বলা হয়। বায়ার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ লোকাল বায়ার, মার্কেটপ্লেস বায়ার। একজন বায়ার নিজের কাজের বিবরণ দিয়ে সেই কাজগুলো ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে অর্থের বিনিময়ে করিয়ে থাকে। আর সেই নির্দিষ্ট কাজগুলো যিনি করে দিয়ে থাকে তাকে সেলার বলা হয়। সেলার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ লোকাল সেলার, মার্কেটপ্লেস সেলার।
লেখক এর শেষ কথা (বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি)
আজকের আর্টিকেলটিতে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কাজ করতে চাইলে কোন প্লাটফর্মে কাজ করে বেশি সফলতা পাবেন এবং নিজের ক্যারিয়ার ভালোভাবে গড়তে পারবেন তা ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তবে অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এর ফলে আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনরাও এই বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরে উপকৃত হতে পারবে। আমাদের ওয়েবসাইটটির নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আমাদের সাথে থাকার এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরাম্ভ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url