মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ৮ টি উপায়
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ৮ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই। কিন্তু তাদের কাছে একটি ভালো মানের স্মার্টফোন রয়েছে। তারা নিশ্চিন্তে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখা ৎঅসম্ভব কোন ব্যাপার নয়। বর্তমানে অনেকেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখছে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে ভালো মানের টাকা উপার্জন করছে। নিজেকে সফল ফ্রিল্যান্সার রুপে নিজেকে গড়ে তুলছে।
পেজ সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ৮ টি উপায়
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ৮ টি উপায়
- ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব
- বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি
- মোবাইল দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এর কাজ
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি কাজ করা যায়
- ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা সময় ব্যবস্থাপনা অ্যাপস
- ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য মোবাইল - বান্ধব পোর্টফোলিও তৈরির উপায়
- ফ্রিল্যান্সিং করে কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন উত্তর
- লেখকের শেষ কথা (মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ৮ টি উপায়)
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ৮ টি উপায়
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। অনেকেই মনে করেন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব নয়। এর ফলে যাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই। তারা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে না পারায় হতাশায় ভুগে থাকে। তবে এখন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়। আপনি ধৈর্য সহকারে মোবাইলের সঠিক ব্যবহার এবং সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আগ্রহী। তাদের জন্য মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ৮ টি উপায় সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
- ভিডিও এডিটিংঃ বর্তমান মার্কেটপ্লেসগুলোতে ভিডিও এডিটিং এর কাজের চাহিদা প্রচুর। ইউটিউব এর জন্য বিভিন্ন ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া ব্র্যান্ডের প্রমোশনাল ইত্যাদি অনলাইন প্লাটফর্মগুলোর জন্য বিভিন্ন রকম ভিডিও এডিটিং এর দরকার হয়ে থাকে। এজন্য মার্কেটপ্লেস গুলোতে ভিডিও এডিটর এর চাহিদা প্রচুর রয়েছে। তাই আপনি যদি ভিডিও এডিটিংয়ে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিংয়ের কাজ করতে পারেন। যদি একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর ফ্রিল্যান্সার রূপে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন। তাহলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর।
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ বর্তমানে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। আপনি যদি ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর কাজের ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করতে পারবেন। কনটেন্ট পোস্ট করা, কমেন্টের উত্তর দেওয়া, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিডিউল, স্ট্রাটেজি তৈরি করা ইত্যাদি অনেক কাজ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মধ্যে রয়েছে। মোবাইল দিয়ে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করে ভালো মানের টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ আপনি ভালো কোনো ব্র্যান্ডের মাল কিনতে চাইলে। অবশ্যই কিনার আগে সেই পণ্য সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই করে তারপরে কিনবেন। পণ্য সম্পর্কে জানার জন্য আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক অফিসিয়াল পেজে নক দিয়ে প্রশ্ন করেন। নক দেওয়ার পরে আপনার প্রশ্নের উত্তরগুলো যারা দিয়ে থাকে। সেটি মূলত সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন কোম্পানি নিয়োগ দিয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ করে আপনি মোটামুটি ভালো মানের টাকা আয় করতে পারেন। এই কাজটি মোবাইল দিয়ে করা যায়।
- গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ আপনি মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। তাই বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদাও প্রচুর। আপনি যদি দক্ষতার সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারেন। তাহলে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে। যেই কাজগুলো মোবাইল দিয়ে করা যায়। যেমনঃ পিএনজি ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ভিক্টর ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন। মোবাইল দিয়ে আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ করতে চান। তাহলে আপনার কিছু অ্যাপস এর প্রয়োজন পড়বে। যেমনঃ Pixlab, Pics Art, Canvas, Adobe Photoshop touch, Camtasia. আপনি মোবাইলে সঠিক ব্যবহার করে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারেন
- ওয়েব ডিজাইনঃ মোবাইল দিয়ে ওয়েব ডিজাইনের কাজ করতে পারা যায়। বর্তমান মার্কেটপ্লেস গুলোতে ওয়েব ডিজাইনের কাজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। আপনি নিজেকে ওয়েব ডিজাইনের কাজে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে। মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়েব ডিজাইন কাজ সহজেই পেয়ে যাবেন। মোবাইলের সঠিক ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ওয়েব ডিজাইনের কাজ করতে পারবেন। ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করার জন্য কিছু অ্যাপস এর প্রয়োজন হয়। যেমনঃ free code camp, W3 schools, solo learn, programming hero. এই অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে আপনি ওয়েব ডিজাইনের কাজ মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন।
- কনটেন্ট রাইটিংঃ বর্তমানে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করে অনেকেই নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলছে। বর্তমান মার্কেটপ্লেসগুলোতে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজের চাহিদাও প্রচুর রয়েছে। আপনি মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করার জন্য আপনার কিছু অ্যাপস এর প্রয়োজন পড়বে। যেমনঃ Google docs, WPS office, Microsoft office word, Notepad. এই অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে আপনি মোবাইল দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারবেন। কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করে খুব কম সময়ে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
- প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপসঃ আপনি মোবাইল দিয়ে প্রডাক্টিভিটি অ্যাপস ব্যবহার করে প্রোডাক্ট ম্যানেজার এর কাজ করতে পারেন। এই কাজটি আপনি মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন। এই কাজটি করার জন্য আপনার কিছু অ্যাপসের প্রয়োজন পড়বে। যেমন Google workplace, Microsoft office, Asana, Notion, Trello. এই অ্যাপসগুলো ব্যবহারে ভালোভাবে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে। আপনি মোবাইল দিয়ে এই কাজ করতে পারবেন। ভালো মানের টাকা উপার্জন করে নিজের সফল গ্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
- অ্যাফিলিয়ান্ট মার্কেটিংঃ মোবাইল দিয়েই আপনি অ্যাফিলিয়ান্ট মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবেন। বর্তমান মার্কেটপ্লেসগুলোতে অ্যাফিলিয়ান্ট মার্কেটিং এর কাজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। তাই আপনি অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিং এর কাজে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলুন। তাহলে মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিংয়ের কাজ করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়ান্ট মার্কেটিং করে আপনি ভালো মানের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কোন কোম্পানি বা কোন ব্যক্তির পণ্য বিক্রি করে দিয়ে যেই কমিশন উপার্জন করা হয় তাকেই অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিং বলে। ইউটিউব, নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ফেসবুক ইত্যাদি অনেক জায়গায় আপনি অ্যাফিলিয়ান্ট মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব
বর্তমান ডিজিটাল যুগে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের চাহিদা প্রচুর বাড়ছে। বর্তমানে তরুণ-তরুণী, গৃহিণী, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ-মহিলা, বিভিন্ন পেশার মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আগ্রহী হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। আপনি স্বাধীনভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারবেন। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিজেকে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার করে গড়ে তুলতে চান। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব সেই সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে খাওয়ার উপকারিতা - পুষ্টিগুণ ও অপকারিতা
- অনলাইন প্লাটফর্মঃ অনলাইনে অনেক কোর্স রয়েছে। যেগুলো থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে আপনাকে কোন বিষয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন সেটি নির্বাচন করতে হবে। তারপরে অনলাইন প্লাটফর্মে সার্চ করে সেই বিষয়ে কোর্সগুলো করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করার আগে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে রিসার্চ করতে হবে। কেননা অনলাইনে অনেক ফেক কোর্স রয়েছে। যেগুলো দ্বারা আপনি কিছুই শিখতে পারবেন না। তাই কোড সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই করে করুন এই কোর্সের রিভিউ দেখুন। তারপরে সেই কোর্সটি করুন।
- অফলাইন প্রতিষ্ঠানেঃ বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে। যেগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং শেখানো হচ্ছে। আপনি ভালোভাবে রিসার্চ করে একটি ভালো ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করুন। সেই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের রিভিউ দেখুন। ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে অবশ্যই সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে বুঝে তারপরে ভর্তি হতে হবে। কেননা অনেক প্রতিষ্ঠান ফেক রয়েছে। যেগুলো মানুষকে শেখার নামে ধোঁকা দিয়ে থাকে। বিশ্বস্ত ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানের ভর্তি হয়ে আপনি নিজেকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজে দক্ষতা অর্জন করুন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর
আমরা প্রায় সকলেই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কিছুটা জানি। বর্তমানে মার্কেটপ্লেস গুলোতে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে কিছু কিছু কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা প্রচুর। এই কাজগুলোর দক্ষতা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদাও মার্কেটপ্লেসে প্রচুর রয়েছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনগুলো তার নিম্নে দেওয়া হলঃ
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- কনটেন্ট রাইটিং
- ই-কমার্স
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- সাইবার সিকিউরিটি
- ডেটা এনালিটিক্স
- মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট
- অ্যানিমেশন কার্টুন
মোবাইল দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এর কাজ
মোবাইল দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াম ম্যানেজারের কাজ করা যায়। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজের চাহিদা মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রচুর রয়েছে। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। টুইটার, লিংকডইন ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ইত্যাদি প্লাটফর্ম গুলোর প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট গুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণা এবং পরিচালনা করা একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকে ভিডিও, ছবি, অডিও, সুন্দর ও মনোরম লেখা ও আরো বিভিন্ন বিষয় তৈরি করতে হয়। যেগুলো দেখে দর্শকরা আকর্ষণ বোধ করে।
সোশ্যাল মিডিয়ার সকল নতুন টুলস ও প্রবণতা আরো বিভিন্ন সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে সেগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হয়। সোশ্যাল মিডিয়া পারফরমেন্সের ডেটা বিশ্লেষণ করে সেই অনুসারে রিপোর্ট তৈরি করা সোশ্যাল মিডিয়াম ম্যানেজারের কাজ। সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে কোম্পানির ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়াতে ও বিজ্ঞাপনের কাজে সাহায্য করা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ। সঠিক কৌশল অনুসরণ করে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের বিপণন লক্ষ্য পূরণ করা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি কাজ করা যায়
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে বেকার যুবকরা বেকারত্বের হার কমিয়ে আনছে। আপনার কাছে যদি একটি স্মার্টফোন থাকে। তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ৮ টি উপায় জানতে পারবেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক কাজ রয়েছে। সেই কাজগুলো মোবাইল দিয়ে অ্যাপসের সঠিক ব্যবহার করে খুব সহজেই করা যায়। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কাজগুলো করা যায় তা নিম্নে দেওয়া হলঃ
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- অডিও এডিটিং
- ভিডিও এডিটিং
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্ভিস
- ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- ডাটা এন্ট্রি
- ব্লগিং
- কন্টেন্ট রাইটিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা সময় ব্যবস্থাপনা অ্যাপস
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা সময় ব্যবস্থাপনা কিছু অ্যাপস রয়েছে। সেই অ্যাপগুলো আপনার কাজের সময়কে ট্র্যাকিং করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনার কাজের অপটিমাইজ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপসগুলো ফ্রিল্যান্সাররা ব্যবহার করে সময়কে সঠিকভাবে আরো ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবে।
- Rescue Time এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি কম্পিউটার বা মোবাইলে কিভাবে সময় পার করেছেন। সেটি ট্র্যাক করে আপনাকে পরবর্তীতে জানিয়ে দিবে। ফলে আপনি আপনার সময়কে সঠিক ও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। এই অ্যাপসটি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
- Toggl ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা সময় ব্যবস্থাপনার জন্য এই অ্যাপসটি প্রচুর জনপ্রিয়। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি আপনার কাজের প্রতি সেকেন্ড ট্র্যাক করতে পারবেন। এই অ্যাপসটি আপনাকে আপনার বিভিন্ন প্রজেক্টে সময়ের ব্যবহারের রিপোর্ট দিয়ে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য মোবাইল - বান্ধব পোর্টফোলিও তৈরির উপায়
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অবশ্যই আপনাকে মোবাইল বান্ধব পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে। এর ফলে মোবাইল ডিভাইসে আপনার কাজের সকল বিষয় সঠিকভাবে প্রদর্শন করা যায়। এছাড়াও মোবাইল ডিভাইসে সহজে প্রবেশ করা যায়। কিছু বিশেষ ওয়েবসাইট ও অ্যাপস ব্যবহার করে আপনি মোবাইল-বান্ধব পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য মোবাইল - বান্ধব এবং পোর্টফোলিও তৈরি করার উপায়।
আরো পড়ুনঃ কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
- Kuver এই অ্যাপটি সেলফ মেড পোর্টফলিও বানানোর জন্য খুবই ভালো। এই পোর্টফোলিওর ভিতরে আপনি আপনার কাজের যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। এছাড়াও গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
- Ticker Tape আপনি যদি অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান বা স্টক মার্কেটের সাথে কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এই অ্যাপসটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই অ্যাপটি আপনার কাজের সকল রেকর্ড সংরক্ষণ করে রাখতে সহায়তা করবে। এছাড়াও আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারকে পেশাদারী দৃষ্টিকোণ থেকে সুন্দর ও মনোরমভাবে উপস্থাপন করতে সাহায্য করবে।
- INDmony এই অ্যাপটি প্রচুর শক্তিশালী। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ইনকাম এবং সঞ্চয় ট্র্যাক করতে পারবেন। এছাড়াও এই অ্যাপটি ফ্রিল্যান্সিং কাজের আর্থিক অংশ দেখানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।
ফ্রিল্যান্সিং করে কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে অবশ্যই কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য তে বজায় না থাকে। তাহলে আপনি মানসিকভাবে হতাশ হয়ে যেতে পারেন। এর ফলে কোনো কাজে ভালোভাবে মন বসে না। আপনি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে খুব সহজেই কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার কিছু উপায় সম্পর্কে।
- কাজ করার জন্য একটি সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ তৈরি করুন। সেই নির্দিষ্ট স্থানটিতে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করবেন। এর ফলে আপনার কাজে মনোযোগ বসবে।
- ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য রুটিন তৈরি করুন। সেই রুটিন অনুযায়ী সকল কাজ শেষ করার চেষ্টা করতে হবে।
- প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিনই শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ প্রতিদিন আপনি যদি কাজ শেষ না করেন। তাহলে অনেক কাজ একসাথে করতে আপনি ক্লান্ত বোধ করবেন।
- কাজের মধ্যে বারবার বিজ্ঞপ্তি আসলে আপনি কাজে মনোযোগী হতে পারবেন না। তাই ফ্রিল্যান্সিং করার সময় আপনার মোবাইলের যাবতীয় অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি বন্ধ রাখতে হবে। এর ফলে আপনি মনোযোগ সহকারে সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন।
- কাজ করার সময় অবশ্যই কিছুক্ষণ বিরতি নিতে হবে। কেননা একটানা কাজ করার ফলে মানসিকভাবে অনেক চাপ পড়ে। তাই কাজের মাঝে কিছু সময় বিরতি নিয়ে বিশ্রাম করতে হবে। এর ফলে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
- আপনার নিজের জন্য অবশ্যই ব্যক্তিগত সময় রাখতে হবে। সেই সময়ে আপনি আপনার পরিবারের প্রিয়জনের সাথে সময় কাটাবেন। হাটাহাটি করবেন, ব্যায়াম করবেন এবং নিজের শখ পূরণ করবেন।
- আপনার ব্যক্তিগত সময়ে কাজের কোন নোটিফিকেশন দেখবেন না। তাহলে আপনার ব্যক্তিগত সময়ে কোনো রকম বিরক্তি আসবে না। নতুন কিছু শেখার জন্য অবশ্যই কিছু সময় নির্ধারণ করে রাখবেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং কি?
উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি কাজ যা ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। এখানে আপনাকে কারো অধীনস্থ হয়ে কাজ করতে হবে না। আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখা কি সম্ভব?
উত্তরঃ হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখা সম্ভব।
প্রশ্নঃ মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করা সম্ভব?
উত্তরঃ হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করা সম্ভব। বর্তমানে অনেকেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে টাকা উপার্জন করছে।
প্রশ্নঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কি কি প্রয়োজন পড়ে?
উত্তরঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে একটি ভালো মানের স্মার্টফোন, ইন্টারনেট সংযোগ, যে বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন সেই সম্পর্কিত অ্যাপসের প্রয়োজন পড়ে। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং যোগাযোগ স্থাপনের দক্ষতা থাকতে হবে। এছাড়াও ইংরেজি বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব ও কাজ পাব ?
উত্তরঃ আপনি ফ্রিল্যান্সিং অনলাইনে বা অফলাইনে শিখতে পারেন। ক্রিয়েটিভ আইটি, নেবুলা আইটি, কোডার্স ট্রাস্ট, বিআইটিএম এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং শিখে upwork, fiver, gurue.com, freelancer.com এই মার্কেটপ্লেসে কাজ পাবেন।
প্রশ্নঃ নতুনদের জন্য কোন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স সেরা?
উত্তরঃ কিছু ফ্রিল্যান্সিং কোর্স রয়েছে যেগুলো বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যেমনঃ ডাটা এন্ট্রি, কন্টেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন। তাই নতুনদের জন্য এই ফ্রিল্যান্সিং কোর্সগুলো সেরা।
প্রশ্নঃ মোবাইল দিয়ে কি ইনকাম করা যায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায়। আপনার কাছে একটি ভালো মানের স্মার্টফোন থাকলে। সেটির সঠিক ব্যবহার করে আপনি মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং কি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য?
উত্তরঃ না, ফ্রিল্যান্সিং যে কোন ব্যক্তি করতে পারে। এখানে বয়স বা পেশা কোন ব্যাপার নয়।
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন মার্কেটপ্লেসগুলো নতুনদের জন্য ভালো?
উত্তরঃ নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সার ডটকম, ফাইভার, আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসগুলো ভালো।
প্রশ্নঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত সময় লাগতে পারে?
উত্তরঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য সময় নির্ভর করবে আপনি কোন কাজটি শিখতে চাচ্ছেন তার ওপরে। এছাড়াও আপনি সেই কাজটি শিখার জন্য কত সময় ব্যয় করছেন তার উপরে।
লেখকের শেষ কথা (মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ৮ টি উপায়)
আজকেরে আর্টিকেলটিতে আমরা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ৮ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান পৃথিবীর মানুষ নিজের ভালো ক্যারিয়ার গড়তে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে বেশি আগ্রহী হচ্ছে।
আপনার কাছে একটি ভালো মানের মোবাইল থাকলে। সেই মোবাইল দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং শিখে ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে। সহজে হাল ছাড়া যাবে না। তাহলে আপনি নিজেকে সফল ব্যক্তিতে রূপান্তরিত করে নিজের জন্য ভালো ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
আরাম্ভ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url