বারোমাসি সবজি তালিকা এবং সবজি চাষ পদ্ধতি
বারোমাসি সবজি তালিকা এবং সবজি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকে। কোন মাসে কোন সবজি চাষ করা হয় এই সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা থাকলে। নিজের বাসা বাড়ির আশেপাশে ফাঁকা জায়গায়, উঠোনের ফাঁকা জায়গায়, বাড়ির ছাদে সবজি চাষ করা যায়। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা বারোমাসি সবজি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যারা এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী। তারা আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আমাদের দেশের ছয়টি ঋতু। আমাদের দেশে বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করা হয়। আমাদের দেশের কৃষি পণ্য উৎপাদন করার জন্য মৌসুমকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমনঃ খরিপ -১, খরিপ-২ এবং রবি। কৃষি কাজ করার জন্য মৌসুমকে তিন ভাগে ভাগ করা হলেও আমাদের দেশের আবহাওয়া, জলবায়ু, ভৌগোলিক অবস্থান এবং মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য বারোমাসি কোন না কোন সবজি চাষ করা হয়।
পেজ সুচিপত্রঃ বারোমাসি সবজি তালিকা এবং সবজি চাষ পদ্ধতি
- বারোমাসি সবজি তালিকা এবং সবজি চাষ পদ্ধতি
- সবজি চাষের সময়সূচি
- বারোমাসি যে যে সবজিগুলোতে প্রচুর ফলন পাবেন
- গ্রীষ্মকালীন ১০ টি সবজির নাম
- বর্ষাকালীন ১০ টি সবজির নাম
- শীতকালীন ১০ টি সবজির নাম
- বারোমাসি সবজি বাজারজাতকরণ ও লাভ বিশ্লেষণ
- বারোমাসি সবজি চাষের গুরুত্ব
- সবজি সম্পর্কে মানুষের জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
- লেখকের শেষ কথা (বারোমাসি সবজি তালিকা এবং সবজি চাষ পদ্ধতি )
বারোমাসি সবজি তালিকা এবং সবজি চাষ পদ্ধতি
বারোমাসি সবজি চাষের গুরুত্ব অপরিসীম। এই সবজিগুলো বারো মাস চাষ করা হয় বলে সারা বছরই মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারা যায়। এর ফলে আমাদের দেশের সবজির শৃঙ্খলা স্থির থাকে। বারোমাসি অনেকগুলোই জনপ্রিয় সবজি রয়েছে। যে এই সবজিগুলো আমরা খেতে খুব পছন্দ করে থাকি। এই সবজিগুলো আমাদের শরীরে সঠিকভাবে পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। আসুন তাহলে আমাদের দেশের কয়েকটি জনপ্রিয় বারোমাসি সবজি তালিকা এবং সবজি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যাক।
বারো মাসি সবজি তালিকা
- পালং শাক
- বাঁধাকপি
- মূলা
- বেগুন
- টমেটো
- মরিচ
- শসা
- পটল
- চাল কুমড়া
- লাউ
- পুঁইশাক
- মিষ্টি কুমড়া
- পেঁপে
- করলা
- কলমি শাক
- লাল শাক
- সিম
- ঢেঁড়স
- ধনিয়া পাতা
সবজি চাষ পদ্ধতি
- বারোমাসি সবজি ভালোভাবে চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরী।
- উন্নত মানের বীজ বা জাত নির্বাচন করতে হবে।
- বীজ শোধন করতে হবে।
- জৈব সার যুক্ত মাটি নির্বাচন করতে হবে।
- পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা করতে হবে।
- সঠিক সময়ে বীজ বপন করতে হবে।
- সঠিক সময়ে চারা রোপণ করা করতে হবে।
- গাছের দ্রুত বৃদ্ধি করতে এবং ফলন বাড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার প্রয়োগ করা করতে হবে।
- সঠিকভাবে পানি সেচ দিতে হবে।
- রোগ ও পোকামাকড় থেকে ফসলকে মুক্ত রাখার জন্য সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা নিতে হবে।
- সঠিকভাবে সবজি চাষের পরিচর্যা করতে হবে।
- সবজি পরিপক্ক হলে সবজি তুলতে হবে।
- এইভাবে যদি সবজি চাষ করেন তাহলে বারোমাসি সবজির প্রচুর ফলন পাবেন।
সবজি চাষের সময়সূচি
বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন সবজি উৎপাদন করা হয়। আমাদের দেশের মাটিতে প্রায় সকল রকমেরই সবজি বারো মাস উৎপাদন করা হয়। কিছু কিছু সবজি রয়েছে যেগুলো বারোমাসি প্রচুর ফলন হয়। বারোমাসি এই সবজিগুলো অনেক জনপ্রিয় সবজি। সঠিক সময়ে এবং সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে বারোমাসি সবজিগুলোর প্রচুর ফলন হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক সবজি চাষের সময়সূচি।
মাস | সবজি চাষ |
---|---|
বৈশাখ ( মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে ) | চাল কুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, ধুন্দুল, করলা, মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, ঢেঁড়স, হলুদ, আদা, মরিচ, বেগুন, পাট শাক, পিঁয়াজ, ডাটা শাক, কলমি শাক, লাল শাক, গিমা শাক |
জ্যৈষ্ঠ ( মধ্য মে-মধ্য জুন ) | পেঁপে, বেগুন, মরিচ, পুঁই শাক, বরবটি, ঢেঁড়স, আদা, হলুদ, কচু, ওল, সোয়াবিন, ভুট্টা, পাট শাক |
আষাঢ় ( মধ্য জুন-মধ্য জুলাই ) | আলু, সোয়াবিন, চিনা বাদাম, তিল, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, বেগুন, শিম |
শ্রাবণ ( মধ্য জুলাই-মধ্য আগস্ট ) | পালং শাক, লটে শাক, ঢেঁড়স, পুঁই শাক, লালশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, টমেটো, বেগুন, মুলা |
ভাদ্র ( মধ্য আগস্ট-মধ্য সেপ্টেম্বর ) | লাউ, কুমড়া, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, ওলকপি, বাঁধাকপি |
আশ্বিন ( মধ্য সেপ্টেম্বর-মধ্য অক্টোবর ) | ফুলকপি, ওলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, আল, পেঁয়াজ, রসুন |
কার্তিক ( মধ্য অক্টোবর-মধ্য নভেম্বর ) | রসুন, পেঁয়াজ, আলু,গাজর, শালগম, বিট, মুলা,বথুয়া, লেটুস, পালং শাক,ফ্রেঞ্চবিন, শিম, মরিচ, ক্যাপসিকাম ওলকপি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, বেগুন |
অগ্রাহায়ন ( মধ্য নভেম্বর-মধ্য ডিসেম্বর ) | রসুন, পেঁয়াজ, আলু, গাজর, শালগম, বিট, মুলা,ধনে, বথুয়া, লেটুস, পালং শাক,ফ্রেঞ্চবিন, শিম, মরিচ, ক্যাপসিকাম, ওলকপি, লাউ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকলি, টমেটো |
পৌষ ( মধ্য ডিসেম্বর-মধ্য জানুয়ারি ) | মুলা, বিট, শালগম, গাজর, আলু, পেঁয়াজ, রসুন,পালংশাক, লেটুস, বথুয়শাক, ধনে,টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, লাউ, ব্রোকলি, ক্যাপসিকাম, মরিচ, শিম, ফ্রেঞ্চবিন, মটরশুঁটি |
মাঘ ( মধ্য জানুয়ারি-মধ্য ফেব্রুয়ারি ) | মুলা, বিট, গাজর, শালগম, পিঁয়াজ, আলু, মিষ্টি আলু,পালং, লাল শাক, ধনে মেথি, বথুয়া, লেটুস, লাফা শাক,বেগুন, লাউ, করলা, মটরশুঁটি, ফুলকপি, টমেটো, ওলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, পটল |
ফাল্গুন ( মধ্য ফেব্রুয়ারি-মধ্য মার্চ ) | শালগম, রসুন, পেঁয়াজ, ওল, মুখি কচু,পুঁই শাক, মেথি, ধনে, লাল শাক, পালং শাক,বেগুন, পটল, মরিচ, ওলকপি, টমেটো, মটরশুঁটি, শসা, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, করলা, লাউ, বেগুন, ফ্রেঞ্চবিন |
চৈত্র ( মধ্য মার্চ-মধ্য এপ্রিল ) | মুখি কচু, মিষ্টি আলু, ওল,কলমি শাক, গিমা শাক, মেথি শাক, ডাটা শাক, পুঁই শাক,পানি কচু, লতি কচু, বরবটি, চাল কুমড়া, ঢেঁড়স, পটল, মরিচ, মটরশুঁটি, শসা, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, করলা, লাউ, বেগুন |
বারোমাসি যে যে সবজি গুলোতে প্রচুর ফলন পাবেন
বারোমাসি সবজিতে প্রচুর ফলন পাওয়ার জন্য অবশ্যই সঠিক পদক্ষেপ বা নিয়ম মেনে চাষ করতে হবে। তাহলে বারোমাসি সবজিগুলো থেকে প্রচুর ফলন পাওয়া যাবে। উন্নত মানের জাত বা বীজ নির্বাচন এবং উপযুক্ত মাটি নির্বাচন করতে হবে, সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে, সঠিকভাবে সার দিতে হবে, সঠিকভাবে পোকামাকড় দমন করতে হবে এবং সঠিকভাবে পানি সেচ ও পরিচর্যা করতে হবে। বারোমাসি সবজি তালিকা এবং সবজি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে বারোমাসি সবজিগুলো থেকে প্রচুর ফলন পাবেন।আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বারোমাসি যে যে সবজিগুলোতে প্রচুর ফলন পাবেন।
আরো পড়ুনঃ
- মিষ্টি কুমড়া সবজি চাষে বারোমাসি প্রচুর ফলন পাবেন
- ঢেঁড়স সবজি চাষে বারোমাসি প্রচুর ফলন পাবেন
- সিম সবজি চাষে বারোমাসি প্রচুর ফলন পাবেন
- শসা সবজি চাষে বারোমাসি প্রচুর ফলন পাবেন
- লাউ সবজি চাষে বারোমাসি প্রচুর ফলন পাবেন
- করলা সবজি চাষে বারোমাসি প্রচুর ফলন পাবেন
- বেগুন সবজি চাষে বারোমাসি প্রচুর ফলন পাবেন
- বরবটি সবজি চাষে বারোমাসি প্রচুর ফলন পাবেন
- পেঁপে সবজি চাষে বারোমাসি প্রচুর ফলন পাবেন
- চাল কুমড়া সবজি চাষে বারোমাসি প্রচুর ফলন পাবেন
- মরিচ সবজি চাষে বারোমাসি প্রচুর ফলন পাবেন
- লালশাক চাষে বারোমাসি প্রচুর ফলন পাবেন
- পুঁইশাক চাষে বারোমাসি প্রচুর ফলন পাবেন
গ্রীষ্মকালীন ১০ টি সবজির নাম
বৈশাখ ও জৈষ্ঠ এই দুই মাস নিয়ে গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মকালে যেমন প্রচুর ফল পাওয়া যায় তেমনি গ্রীষ্মকালে নানা ধরনের সবজিও উৎপাদন করা হয়ে থাকে। সবজি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সবজি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে। গ্রীষ্মকালে যেসব সবজি বেশি পরিমাণে উৎপাদন করা হয় তারমধ্যে অন্যতম গ্রীষ্মকালীন কিছু সবজির নাম জানব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক গ্রীষ্মকালীন ১০ টি সবজির নাম।
- মিষ্টি আলু
- পুঁইশাক
- পটল
- কাকরোল
- ডাটা শাক
- মিষ্টি কুমড়া
- কলমি শাক
- ঢেঁড়স
- টমেটো
- মরিচ
বর্ষাকালীন ১০ টি সবজির নাম
আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস নিয়ে বর্ষাকাল। আমাদের জীবনে সবজির গুরুত্ব অপরিসীম। সবজি ছাড়া আমরা একদিনও কল্পনা করতে পারিনা। আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রত্যেকদিন বিভিন্ন ধরনের সবজি থাকে। কেননা সবজি আমাদের শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী। সবজি আমাদের শরীরকে সুস্থ, সবল ও শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। আমাদের দেশে সারা বছরই প্রায় সবজি উৎপাদন করা হয়ে থাকে। বর্ষাকালেও বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করা হয়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক বর্ষাকালে উৎপাদন হওয়া অন্যতম বর্ষাকালীন ১০ টি সবজির নাম।
- লাউ
- মিষ্টি কুমড়া
- বেগুন
- ঝিঙ্গা
- চিচিঙ্গা
- বরবটি
- করলা
- ঢেঁড়স
- চাল কুমড়া
- শসা
শীতকালীন ১০ টি সবজির নাম
মাঘ ও পৌষ এই দুই মাস নিয়ে শীতকাল। আমাদের দেশে শীতকালে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করা হয়ে থাকে। সবজি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, মিনারেল, এন্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি সরবরাহ করে থাকে।সবজি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক শীতকালে উৎপাদন হওয়া অন্যতম শীতকালীন ১০ টি সবজির নাম।
আরো পড়ুনঃ
- পেয়াজ কলি
- গাজর
- পালং শাক
- লেটুস
- লাউ
- শিম
- ব্রকলি
- টমেটো
- ফুলকপি
- বাঁধাকপি
বারোমাসি সবজি বাজারজাতকরণ ও লাভ বিশ্লেষণ
আমাদের দেশে যে সবজিগুলো বারোমাসি চাষ করা হয় থাকে এবং যে সবজিগুলো সারা বছরই
পাওয়া যায় তাকে বারোমাসি সবজি বলা হয়। বারোমাসি সবজিগুলো সঠিক পদ্ধতি মেনে
উৎপাদন করা হলে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয়। এর ফলে কৃষকেরা প্রচুর পরিমাণে
আর্থিকভাবে লাভবান হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক বারোমাসি সবজি বাজারজাত ও লাভ
বিশ্লেষণ সম্পর্কে।
- বারোমাসি সবজিগুলো সারা বছর চাষের ফলে সারা বছরই বিক্রি করা যায়।
- বারো মাসে সবজিগুলো যদি পাইকারি বাজারে সরবরাহ করা হয় তাহলে খরচ অনেক কম হয়।
- যদি নিজের পরিবহন ব্যবস্থা থাকে তাহলে ২৫% থেকে ৪০% লাভের পরিমাণ বাড়ে।
- যদি এক বিঘা জমিতে সবজি চাষের সঠিক পদ্ধতি মেনে বারোমাসি সবজি চাষ করা হয়। তাহলে গড়ে প্রায় ১.৫ থেকে ২ লক্ষ পরিমাণ টাকা বছরে লাভ করতে পারা যায়।
বারোমাসি সবজি চাষের গুরুত্ব
যে সবজি বারো মাসে বা সারা বছর চাষ করা হয় তাকে বারোমাসি সবজি চাষ বলা হয়। বারোমাসি সবজিগুলো বিভিন্ন মৌসুমে অনেক ভালো ফলন হয়। ফলে চাষিরা এই সবজিগুলো চাষ করে বিক্রি করার মাধ্যমে বেশি পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারে। বারোমাসি সবজি চাষ একটি লাভজনক কৃষি ব্যবসা। আমাদের দেশে বারোমাসি সবজি চাষ অনেক জনপ্রিয়। বারমাসি সবজি চাষের গুরুত্ব অপরিসীম।
- খাদ্যের চাহিদা পূরণ করেঃ বাংলাদেশে যে সবজিগুলো বারোমাস চাষ করা হয়ে থাকে। সেই সবজিগুলো আমাদের দেশে মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এই সবজিগুলো সারা বছর ধরে পাওয়া যায়। তাই আমাদের দেশের সবজি সরবরাহের শৃঙ্খলা স্থির থাকে। তাছাড়াও বারোমাসি সবজিগুলো চাষের কারণে সবজির দামের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যে সরবরাহঃ সবজি আমাদের শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সবজিতে প্রায় সকল রকমের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফারুক ফাইবার ইত্যাদি রয়েছে। সবজি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের শরীর সুস্থ ও সবল থাকে। বারোমাসি সবজিগুলো সারা বছর পাওয়া যায়। এইজন্য মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে বারোমাসি সবজিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- চাষীদের আয়ঃ বারোমাসি সবজিগুলো চাষীরা সারা বছরই চাষ করতে পারে। সারা বছর চাষ করার ফলে সারা বছরই চাষীরা সবজি থেকে ভালো মানের আয় করতে পারে। ফলে চাষীরা আর্থিকভাবে প্রচুর লাভবান হয়। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তাদের জীবন যাপনের মান অনেক উন্নত হয়।
- জমির সঠিক ব্যবহারঃ বারোমাসি সবজিগুলো সারাবছর চাষ করা হয়। তাই সারা বছর কৃষি জমি ফাঁকা পড়ে থাকে না বরং জমির সঠিক ব্যবহার করে সারা বছরের সবজি উৎপাদন করা হয়। ফলে মাটির উর্বরতা বজায় থাকে ও জমি থেকে প্রচুর উৎপাদন হয়।
সবজি সম্পর্কে মানুষের জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
প্রশ্নঃ সবজিতে কি কি পুষ্টিগুণ থাকে?
উত্তরঃ পটাশিয়াম, আঁশ, মিনারেল, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি পুষ্টিগুণ থাকে।
প্রশ্নঃ সবজি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী?
উত্তরঃ সবজি আমাদের শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী।সবজির পুষ্টিগুণগুলো মানুষের শরীরের জন্য খুবই জরুরী। সবজি আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে আমাদের শরীর বিভিন্ন রকমের অসুখ থেকে দূরে থাকে এবং আমরা সুস্থ ও সবল থাকি।
প্রশ্নঃ একজন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন কত গ্রাম সবজি খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ একজন সুস্থ ও প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ২৫০ গ্রাম সবজি খাওয়া উচিত।
লেখকের শেষ কথা (বারোমাসি সবজি তালিকা এবং সবজি চাষ পদ্ধতি)
আমাদের দেশে বারোমাসি কোন না কোন সবজি চাষ করা হয়। আমাদের দেশের মাটিতে প্রায় সব ধরনেরই সবজি উৎপাদন হয়। আজকেরে আর্টিকেলটিতে বারোমাসি সবজি তালিকা এবং সবজি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে সেই বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তবে অবশ্যই আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এর ফলে আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনরাও এই বিষয়ে জেনে উপকৃত হতে পারবে। আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আমাদের সাথে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরাম্ভ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url