সবজি চাষের সময়সূচি - কোন মাসে কোন কোন সবজি চাষ করবেন

যদি সবজি চাষ করতে চান তাহলে অবশ্যই উপযুক্ত সময়ে সঠিক সবজি চাষ করতে হবে। এর ফলে সবজির উৎপাদন অনেক ভালো হয়। বাংলাদেশের ঋতু ছয়টি। ছয়টি ঋতু এবং সবজির ভিন্নতার উপরে সবজি চাষের উপযুক্ত সময় নির্ভর করে। গ্রামে কৃষকেরা যেমন সবজি চাষ করে তেমনি আজকাল শহরেও বাসা বাড়ির ছাদে মানুষ সবজি চাষ করতে চায়। সবজি চাষ করার জন্য অবশ্যই সবজি চাষের সময়সূচি সম্পর্কে জানতে হবে।

সবজি-চাষের-সময়সূচি-কোন-মাসে-কোন-কোন-সবজি-চাষ-করবেন

আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে সবজি চাষের সময়সূচি - বারো মাসে কোন কোন সবজি চাষ করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যারাণ্ড সবজি চাষের সময়সূচি - বারো মাসে কোন কোন সবজি চাষ করবেন সেই সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক। তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ সবজি চাষের সময়সূচি - কোন মাসে কোন কোন সবজি চাষ করবেন

সবজি চাষের সময়সূচি - কোন মাসে কোন কোন সবজি চাষ করবেন

লাগানোর সময়     সবুজ শাকপাতা মূল/কন্দজাতীয় সবজি                অন্যান্য সবজি
জানুয়ারি (পৌষ-মাঘ) পালং, লাল শাক, ধনে মেথি, বথুয়া, লেটুস, লাফা শাক মুলা, বিট, গাজর, শালগম, পিঁয়াজ, আলু, মিষ্টি আলু বেগুন, লাউ, করলা, মটরশুঁটি, ফুলকপি, টমেটো, ওলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, পটল
ফেব্রুয়ারী (মাঘ-ফাল্গুন) পুঁইশাক, মেথি, ধনে, লাল শাক, পালংশাক শালগম, রসুন, পেঁয়াজ, ওল, মুখি কচু বেগুন, পটল, মরিচ, ওলকপি, টমেটো, মটরশুঁটি, শসা, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, করলা, লাউ, বেগুন, ফ্রেঞ্চবিন
মার্চ (ফাল্গুন-চৈত্র্য) কলমিশাক, গিমাশাক, মেথিশাক, ডাটা শাক, পুঁইশাক মুখি কচু, মিষ্টি আলু, ওল পানি কচু, লতি কচু, বরবটি, চাল কুমড়া, ঢেঁড়স, পটল, মরিচ, মটরশুঁটি, শসা, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, করলা, লাউ, বেগুন
এপ্রিল (চৈত্র্য-বৈশাখ) লালশাক, পাটশাক, কলমিশাক, গিমাশাক, ডাটাশাক, পুঁইশাক ঢেঁড়স, বেগুন, বরবটি পেঁপে, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, ঝিঙ্গা, ধুন্দল, শসা, করলা, মিষ্টি আলু, হলুদ, আদা, মুখি কচু, ওল
মে (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ) কলমিশাক, গিমাশাক, ডাটাশাক, পুঁইশাক শাকালু, মুলা, মুখি কচু,ওল করলা, শিম, ঝিঙ্গা, পেঁপে, মরিচ, পটল, ঢেঁড়স, বেগুন
জুন (জ্যৈষ্ঠ-আষাড়) লালশাক, ডাটাশাক, গিমাশাক, কলমিশাক, পুঁইশাক মুখি কচু সজনে ডাটা, ফ্রেঞ্চবিন, করলা, পেঁপে, মরিচ, বরবটি, ঢেঁড়স, বেগুন
জুলাই (আষাড়-শ্রাবন) লালশাক, কলমিশাক, গিমাশাক, ডাটাশাক, পুঁইশাক শাকালু, মুলা সজনে ডাটা, আগাম সিম, ফ্রেঞ্চবিন, ধুন্দল, কাঁকরোল, করলা, ঝিঙ্গা, পেঁপে, মরিচ, বরবটি, ঢেঁড়স, বেগুন
আগস্ট (শ্রাবন-ভাদ্র) লালশাক, কলমিশাক, গিমাশাক, ডাটাশাক, পুঁইশাক মুলা ঢেঁড়স, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম আগাম টমেটো, মরিচ, বেগুন
সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বিন) লালশাক, ধনে, পালংশাক গাজর, শালগম, বিট, মুলা ক্যাপসিকাম, ওলকপি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, মরিচ, বেগুন, ক্যাপসিকাম
অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক) বথুয়া, লেটুস, পালংশাক রসুন, পেঁয়াজ, আলু,গাজর, শালগম, বিট, মুলা ফ্রেঞ্চবিন, শিম, মরিচ, ক্যাপসিকাম ওলকপি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, বেগুন
নভেম্বর (কার্তিক-অগ্রহায়ন) ধনে, বথুয়া, লেটুস, পালংশাক রসুন, পেঁয়াজ, আলু, গাজর, শালগম, বিট, মুলা ফ্রেঞ্চবিন, শিম, মরিচ, ক্যাপসিকাম, ওলকপি, লাউ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকলি, টমেটো
ডিসেম্বর (অগ্রহায়ন-পৌষ) পালংশাক, লেটুস, বথুয়শাক, ধনে মুলা, বিট, শালগম, গাজর, আলু, পেঁয়াজ, রসুন টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, লাউ, ব্রোকলি, ক্যাপসিকাম, মরিচ, শিম, ফ্রেঞ্চবিন, মটরশুঁটি

জানুয়ারি (পৌষ - মাঘ) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় 

যদি সবজি চাষ করতে চান তাহলে অবশ্যই উপযুক্ত সময়ে সঠিক সবজি চাষ করতে হবে। এর ফলে সবজির উৎপাদন অনেক ভালো হয়। বাংলাদেশের ঋতু ছয়টি। ছয়টি ঋতু এবং সবজির ভিন্নতার উপর উপরে সবজি চাষের উপযুক্ত সময় নির্ভর করে। ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন রকমের সবজি চাষ করা হয়। আমাদের দেশের কৃষি মৌসুমকে উৎপাদনের ওপর নির্ভর করে ৩ ভাগে ভাগ করাহয়েছে। কিন্তু আমাদের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয়তার কারণে প্রত্যেক মাসেই কোন না কোন সবজি চাষ করা হয়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক জানয়ারি (পৌষ - মাঘ) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় সেই সম্পর্কে সবজি চাষের সময়সূচি।

আরো পড়ুনঃ 

  • সবুজ শাকপাতাঃ লাফা শাক, লাল শাক, পালং শাক, লেটুস, ধনে, মেথি, বথুয়া।
  • মূল বা কন্দজাতীয় সবজিঃ মিষ্টি আলু, আলু, পেঁয়াজ,  শালগম, গাজর, বিট, মুলা।
  • অন‍্যান‍্য সবজিঃ পটল, মরিচ, বাঁধাকপি, ওলকপি টমেটো, ফুলকপি, মটরশুঁটি, করলা, লাউ, বেগুন।

ফেব্রুয়ারি (মাঘ - ফাল্গুন) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় 

সুস্থ ও সবল ভাবে বেঁচে থাকার জন্য পুষ্টিকর সবজির গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিদিন ২১৩ গ্রাম সবজি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের খাওয়া উচিত। কিন্তু আমরা প্রতিদিন গড়ে শুধুমাত্র ৫৩ গ্রাম সবুজ শাকসবজি খাই। সবুজ শাকসবজি কম খাওয়ার ফলে আমরা অনেকেই দৈহিক ও মানসিক বিভিন্ন রকম অসুখে ভুগে থাকি। শাকসবজি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরে বিভিন্ন রকমের পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে। কিন্তু অবশ্যই আমাদের বিষমুক্ত শাকসবজি খেতে হবে। প্রত্যেক মাসে কোন না কোন সবজি চাষ করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ফেব্রুয়ারি (মাঘ - ফাল্গুন) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় সেই  সম্পর্কে সবজি চাষের সময়সূচি।

  • সবুজ শাকপাতাঃ পুঁইশাক, মেথি, ধনে, লাল শাক, পালংশাক।
  • মূল বা কন্দজাতীয় সবজিঃ শালগম, রসুন, পেঁয়াজ, ওল, মুখি কচু।
  • অন‍্যান‍্য সবজিঃ বেগুন, পটল, মরিচ, ওলকপি, টমেটো, মটরশুঁটি, শসা, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, করলা, লাউ, বেগুন, ফ্রেঞ্চবিন।

মার্চ (ফাল্গুন - চৈত্র) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় 

বিষমুক্ত টাটকা শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমাদের সবসময় খেয়াল রাখা উচিত যেন আমাদের প্রত্যেকদিনের খাদ্য তালিকায় বিষমুক্ত টাটকা শাকসবজি থাকে। শাকসবজি আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রত্যেক মাসে কোন না কোন সবজি চাষ করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক মার্চ (ফাল্গুন - চৈত্র) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় সেই সম্পর্কে।

  • সবুজ শাকপাতাঃ কলমিশাক, গীমাশাক, মেথিশাক, ডাটা শাক, পুঁইশাক।
  • মূল বা কন্দজাতীয় সবজিঃ মুখি কচু, মিষ্টি আলু, ওল।
  • অন‍্যান‍্য সবজিঃ পানি কচু, লতি কচু, বরবটি, চাল কুমড়া, ঢেঁড়স, পটল, মরিচ, মটরশুঁটি, শসা, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, করলা, লাউ, বেগুন।

এপ্রিল (চৈত্র - বৈশাখ) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় 

সুস্থ ও সবল ভাবে বেঁচে থাকার জন্য পুষ্টিকর সবজির গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিদিন ২১৩ গ্রাম সবজি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের খাওয়া উচিত। কিন্তু আমরা প্রতিদিন গড়ে শুধুমাত্র ৫৩ গ্রাম সবুজ শাকসবজি খাই। সবুজ শাকসবজি কম খাওয়ার ফলে আমরা অনেকেই দৈহিক ও মানসিক বিভিন্ন রকম অসুখে ভুগে থাকি। সবুজ শাকসবজি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরে বিভিন্ন রকমের পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে। কিন্তু অবশ্যই আমাদের বিষমুক্ত সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। প্রত্যেক মাসে কোন না কোন সবজি চাষ করা হয় আসুন জেনে নেওয়া যাক এপ্রিল (চৈত্র - বৈশাখ) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় সেই  সম্পর্কে।

  • সবুজ শাকপাতাঃ লালশাক, পাটশাক, কলমিশাক, গিমাশাক, ডাটাশাক, পুঁইশাক।
  • মূল বা কন্দজাতীয় সবজিঃ ঢেঁড়স, বেগুন, বরবটি।
  • অন‍্যান‍্য সবজিঃ পেঁপে, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, ঝিঙ্গা, ধুন্দল, শসা, করলা, মিষ্টি আলু, হলুদ, আদা, মুখি কচু, ওল।

মে (বৈশাখ - জ্যৈষ্ঠ) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় 

যদি সবজি চাষ করতে চান তাহলে অবশ্যই উপযুক্ত সময়ে সঠিক সবজি চাষ করতে হবে। এর ফলে সবজির উৎপাদন অনেক ভালো হয়। বাংলাদেশের ঋতু ছয়টি। ছয়টি ঋতু এবং সবজির ভিন্নতার উপর উপরে সবজি চাষের উপযুক্ত সময় নির্ভর করে। ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন রকমের সবজি চাষ করা হয়। আমাদের দেশের কৃষি মৌসুমকে উৎপাদনের ওপর নির্ভর করে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয়তার কারণে প্রত্যেক মাসেই কোন না কোন সবজি চাষ করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক মে (বৈশাখ - জ‍্যৈষ্ঠ) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় সেই সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ

  • সবুজ শাকপাতাঃ কলমিশাক, গিমাশাক, ডাটাশাক, পুঁইশাক।
  • মূল বা কন্দজাতীয় সবজিঃ শাকালু, মুলা, মুখি কচু,ওল।
  • অন‍্যান‍্য সবজিঃ করলা, শিম, ঝিঙ্গা, পেঁপে, মরিচ, পটল, ঢেঁড়স, বেগুন। 

জুন (জ্যৈষ্ঠ - আষাঢ়) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় 

সবজি আমাদের শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী। সবজি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বারো মাসেই কোনো না কোনো সবজি চাষ করা যায়। জুন মাসেও নানা রকম সবজি চাষ করা হয়। অনেকেই জুন মাসের কোন কোন সবজি চাষ করা হয় জানেনা। জুন মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় সেই সম্পর্কে জানতে চায়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক জুন (জ‍্যৈষ্ঠ - আষাঢ়) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় সেই সম্পর্কে।

  • সবুজ শাকপাতাঃ লালশাক, ডাটাশাক, গিমাশাক, কলমিশাক, পুঁইশাক।
  • মূল বা কন্দজাতীয় সবজিঃ মুখি কচু।
  • অন‍্যান‍্য সবজিঃ সজনে ডাটা, ফ্রেঞ্চবিন, করলা, পেঁপে, মরিচ, বরবটি, ঢেঁড়স, বেগুন।

জুলাই (আসাঢ় - শ্রাবণ) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় 

যদি সবজি চাষ করতে চান তাহলে অবশ্যই উপযুক্ত সময়ে সঠিক সবজি চাষ করতে হবে। এর ফলে সবজির উৎপাদন অনেক ভালো হয়। বাংলাদেশের ঋতু ছয়টি। ছয়টি ঋতু এবং সবজির ভিন্নতার উপর উপরে সবজি চাষের উপযুক্ত সময় নির্ভর করে। ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন রকমের সবজি চাষ করা হয়। আমাদের দেশের কৃষি মৌসুমকে উৎপাদনের ওপর নির্ভর করে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয়তার কারণে প্রত্যেক মাসেই কোন না কোন সবজি চাষ করা হয়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক জুলাই (আসাঢ় - শ্রাবণ) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় সেই সম্পর্কে।

  • সবুজ শাকপাতাঃ লালশাক, কলমিশাক, গিমাশাক,  ডাটাশাক, পুঁইশাক।
  • মূল বা কন্দজাতীয় সবজিঃ শাকালু, মুলা।
  • অন‍্যান‍্য সবজিঃ সজনে ডাটা, আগাম সিম, ফ্রেঞ্চবিন, ধুন্দল, কাঁকরোল, করলা, ঝিঙ্গা, পেঁপে, মরিচ, বরবটি, ঢেঁড়স, বেগুন। 

আগস্ট (শ্রাবণ - ভাদ্র) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় 

বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আমাদের দেশের ঋতু ছয়টি। এই ছয়টি ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া, জলবায়ু ও মাটি সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত। আগস্ট মাসে আমাদের দেশে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করা হয়। আগস্ট মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় অনেকেই জানেনা। তাই আগস্ট মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় সেই সম্পর্কে জানতে চায়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক আগস্ট  (শ্রাবণ - ভাদ্র ) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় সেই সম্পর্কে।

  • সবুজ শাকপাতাঃ লালশাক, কলমিশাক, গিমাশাক, ডাটাশাক, পুঁইশাক।
  • মূল বা কন্দজাতীয় সবজিঃ মুলা।
  • অন‍্যান‍্য সবজিঃ ঢেঁড়স, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম আগাম টমেটো, মরিচ, বেগুন।

সেপ্টেম্বর (ভাদ্র - আশ্বিন) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় 

সুস্থ ও সবল ভাবে বেঁচে থাকার জন্য পুষ্টিকর সবজির গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিদিন ২১৩ গ্রাম সবজি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের খাওয়া উচিত। কিন্তু আমরা প্রতিদিন গড়ে ৫৩ গ্রাম সবুজ শাকসবজি খাই। সবুজ শাকসবজি কম খাওয়ার ফলে আমরা অনেকেই দৈহিক ও মানসিক বিভিন্ন রকম অসুখে ভুগে থাকি। সবুজ শাকসবজি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরে বিভিন্ন রকমের পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে। কিন্তু অবশ্যই আমাদের বিষমুক্ত শাকসবজি খেতে হবে। আমাদের দেশে প্রত্যেক মাসে কোন না কোন সবজি চাষ করা হয়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক সেপ্টেম্বর (ভাদ্র - আশ্বিন) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় সেই সম্পর্কে।

  • সবুজ শাকপাতাঃ লালশাক, ধনে, পালংশাক।
  • মূল বা কন্দজাতীয় সবজিঃ গাজর, শালগম, বিট, মুলা।
  • অন‍্যান‍্য সবজিঃ ক্যাপসিকাম, ওলকপি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, মরিচ, বেগুন, ক্যাপসিকাম ।

অক্টোবর (আশ্বিন - কার্তিক) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় 

যদি সবজি চাষ করতে চান তাহলে অবশ্যই উপযুক্ত সময়ে সঠিক সবজি চাষ করতে হবে। এর ফলে সবজির উৎপাদন অনেক ভালো হয়। বাংলাদেশের ঋতু ছয়টি। ছয়টি ঋতু এবং সবজির ভিন্নতার উপর উপরে সবজি চাষের উপযুক্ত সময় নির্ভর করে। ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন রকমের সবজি চাষ করা হয়। আমাদের দেশের কৃষি মৌসুমকে উৎপাদনের ওপর নির্ভর করে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয়তার কারণে প্রত্যেক মাসেই কোন না কোন সবজি চাষ করা হয়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক অক্টোবর (আশ্বিন - কার্তিক) মাসে কোন কোন সবজির চাষ করা হয় সেই সম্পর্কে।

  • সবুজ শাকপাতাঃ বথুয়া, লেটুস, পালংশাক।
  • মূল বা কন্দজাতীয় সবজিঃ রসুন, পেঁয়াজ, আলু,গাজর, শালগম, বিট, মুলা।
  • অন‍্যান‍্য সবজিঃ ফ্রেঞ্চবিন, শিম, মরিচ, ক্যাপসিকাম, ওলকপি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, বেগুন।

নভেম্বর (কার্তিক - অগ্রহায়ণ) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় 

আমাদের বাংলাদেশে বারো মাসেই কোন না কোন সবজি চাষ করা হয়। স্থানীয় বাজারগুলোতে প্রায় সব রকমের সবজি পাওয়া যায়। আপনারা অনেকেই নভেম্বর মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় সেই সম্পর্কে জানতে চান। কেননা নভেম্বর মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় সেই সম্পর্কে জানেন না তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক নভেম্বর (কার্তিক - অগ্রহায়ণ) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় সেই সম্পর্কে 

নভেম্বর-কার্তিক-অগ্রহায়ণ-মাসে-কোন-কোন-সবজি-চাষ-করা-হয়

  • সবুজ শাকপাতাঃ ধনে, বথুয়া, লেটুস, পালংশাক।
  • মূল বা কন্দজাতীয় সবজিঃ রসুন, পেঁয়াজ, আলু, গাজর, শালগম, বিট, মুলা।
  • অন‍্যান‍্য সবজিঃ ফ্রেঞ্চবিন, শিম, মরিচ, ক্যাপসিকাম, ওলকপি, লাউ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকলি, টমেটো।

ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ - পৌষ) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় 

শাকসবজি আমরা সকলেই খেতে খুব পছন্দ করে থাকি। কেননা শাকসবজি আমাদের শরীর সুস্থ ও সবল রাখতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শাকসবজি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রত্যেকেরই নিয়মিত বেশি বেশি শাক সবজি খাওয়া উচিত। আমাদের দেশে প্রত্যেক মাসেই কোন না কোন শাকসবজি চাষ করা হয় ডিসেম্বর মাসেও শাকসবজি চাষ করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ - পৌষ) মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা হয় সেই সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ

  • সবুজ শাকপাতাঃ ধনে, বথুয়া, লেটুস পালংশাক।
  • মূল বা কন্দজাতীয় সবজিঃ রসুন, পেঁয়াজ, আলু, গাজর শালগম, বিট, মুলা।
  • অন‍্যান‍্য সবজিঃ মটরশুঁটি, ফ্রেঞ্চবিন, শিম, মরিচ, ক্যাপসিকাম, লাউ, ব্রোকলি, ওলকপি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো।

লেখকের শেষ কথা 

শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কেননা শাকসবজি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আমাদের সুস্থ ও সবল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজকের এই আর্টিকেলে সবজি চাষের সময়সূচি - সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সবজি চাষের সময়সূচি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। 

এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এর ফলে আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনরাও সবজি চাষের সময়সূচি সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হবে। আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আমাদের সাথে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাম্ভ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url