মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব


আজকেরে আর্টিকেলটিতে, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব? সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বর্তমানে ডিজিটাল পৃথিবীতে বেশিরভাগ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা অসম্ভব কোন ব্যাপার নয়।

মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-কিভাবে-শিখব

মোবাইলের সঠিক ব্যবহার এবং সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব‌। বর্তমানে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করছে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য কিছু নির্দিষ্ট টুলস, স্কিল ও কৌশলের প্রয়োজন পড়ে।

পেজ সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনার একটি ভালো মানের স্মার্টফোন প্রয়োজন পড়বে। এছাড়াও ইন্টারনেট সংযোগ থাকা লাগবে। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখা শুরু করতে পারেন। একটি ভালো মানের স্মার্টফোনের কর্মক্ষমতা প্রচুর। তাই আপনি সঠিকভাবে স্মার্টফোনের ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এই নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

আরো পড়ুনঃ নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ৬ টি সেরা মার্কেটপ্লেস

  • নিজের পছন্দ অনুযায়ী একটি কাজ নির্ধারণ করতে হবেঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে প্রথমে আপনাকে আপনার নিজের জন্য একটি কাজ বাছাই করতে হবে‌। ফ্রিল্যান্সিং সাইটে অনেক কাজ রয়েছে। যেমন‌ঃ ভিডিও এডিটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ডেটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি। এই কাজগুলোর মধ্যে আপনি যে কাজ করতে বেশি আগ্রহ বোধ করবেন। সেই কাজটি নিজের জন্য বাছাই করে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
  • অনলাইনে রিসোর্স খুঁজতে হবেঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার পরবর্তী পদক্ষেপ হলো অনলাইনে শেখার উপকরণ খুঁজতে হবে। Youtube, Skillshare, Udemy, Coursera এই প্লাটফর্ম গুলোতে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য অনেক কোর্স পেয়ে যাবেন। বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেটে সংযোগের মাধ্যমে আপনি যেকোনো বিষয়ে শেখার সকল উপকরণ পেয়ে যাবেন। 
  • স্মার্টফোনে প্রয়োজনীয় অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবেঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে। আপনি যেই কাজে নিজের দক্ষতা বাড়াতে চান, সেই কাজের উপর নির্ভর করে আপনাকে অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে। যেমন ধরুন আপনি যদি লেখালেখির কাজ করতে চান। তাহলে আপনাকে Microsoft word, Google docs, Evernote ডাউনলোড করতে হবে। এই অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে আপনি কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারবেন। আবার গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য Adobe Express, Canva ডাউনলোড করতে হবে। ভিডিও এডিটিং এর জন্য Kinemaster, Indoor, CapCut ডাউনলোড করতে হবে। 
  • মৌলিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবেঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং  শিখার জন্য যেই কাজটি আপনার জন্য নির্ধারণ করেছেন। সেই কাজের ওপর বেসিক বা মৌলিক ধারণা থাকতে হবে। আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ শিখতে চান। তাহলে আপনাকে ব্যাকরণ ঠিক রাখা, বানান, লেখার ধরন, কন্টেন্ট লেখার কাঠামো সম্পর্কে মৌলিক ধারণা থাকতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখর‌ জন্য রংয়ের ব্যবহার, ফ্রন্ট স্টাইল, ডিজাইন প্যাটার্ন, কম্পোজিশন সম্পর্কে মৌলিক ধারণা থাকতে হবে।
  • চর্চা করার মাধ্যমে দক্ষতা বাড়াতে হবেঃ ফ্রিল্যান্সিং শুধু শিখে বসে থাকলেই হবে না। শিখার পর অবশ্যই আপনাকে সেই বিষয়ে চর্চা করতে হবে। বেশি বেশি চর্চা করার মাধ্যমে আপনি সেই বিষয়ে অনেক দক্ষ হয়ে উঠবেন। ‌বেশি বেশি চর্চা করার ফলে আপনি আপনার নিজের ভুলগুলো ধরতে পারবেন। ফলে আপনি আপনার ভুল শুধরে তা সংশোধন করতে পারবেন। আপনি যত বেশি চর্চা করবেন তত বেশি আপনার দক্ষতা অর্জন হবে। ফলে আপনি অনেক ভাল ভাবে কাজ করতে পারবেন। দক্ষতা বেশি থাকলে আপনি অনেক কাজ পেয়ে যাবেন।
  • ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল তৈরি করতে হবেঃ নির্ধারিত কাজে দক্ষতা অর্জন হলে আপনাকে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। Freelancer.com, Upwork, Fiverr, Guru.com এই মার্কেটপ্লেসগুলো ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য প্রচুর ভালো। এ মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে প্রোফাইল তৈরি করুন। আপনাকে প্রোফাইল অনেক সুন্দর এবং মনোরমভাবে সাজাতে হবে। আপনার প্রোফাইলটি অবশ্যই পেশাদারিত্বপূর্ণ হতে হবে। এই প্রোফাইলের ভিতর আপনি আপনার কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বর্ণনা দিন। মনোরম প্রোফাইল দেখে গ্রাহক আকর্ষণ বোধ করবে। এর ফলে আপনি খুব সহজেই কাজ পেয়ে যাবেন্
  • ছোট ছোট কাজ দিয়ে প্রথমে শুরু করতে হবেঃ  কাজে কিছুটা দক্ষতা অর্জন করার পরে ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করুন। ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে আপনার নিজের অভিজ্ঞতা বাড়বে। ছোট ছোট কাজ করতে সময় অনেক কম লাগবে। এছাড়াও আপনার মাথায় চাপ অনেকটাই কম পড়বে। এতে আপনি আস্তে আস্তে কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন।
  • ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট শিখতে হবেঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ক্লাইন্ট ম্যানেজমেন্ট। গ্রাহকের সাথে অবশ্যই আপনার সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। গ্রাহকের সকল চাহিদা ভালোভাবে বুঝতে হবে। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সঠিক সময়ে সেই কাজ সম্পূর্ণ করে গ্রাহককে ডেলিভারি দিতে হবে। গ্রাহকের সাথে সবসময় পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে। তাদের সকল প্রশ্নের সঠিকভাবে উত্তর দিতে হবে। গ্রাহকের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলে সেই গ্রাহকেরা পরবর্তীতে আপনাকে আরো কাজ দিয়ে থাকবে।
  • ধৈর্য ধারণ করতে হবেঃ ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং শেখার পরে সহজেই হাল ছেড়ে দিলে হবে না। বরং ধৈর্য সহকারে কাজে লেগে থাকতে হবে। ইনশাআল্লাহ একসময় না একসময় আপনি সফলতা অবশ্যই পাবেন। কিন্তু ধৈর্য হারিয়ে হাল ছেড়ে দিলে সফলতা পাওয়া অসম্ভব। ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফলতা পাওয়ার অন্যতম উপায় হল ধৈর্য ধারণ করা। প্রথমে হয়তো আপনি সহজে কাজ পাবেন না। প্রচুর মানুষের সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে। তবে সহজেই হাল ছাড়লে চলবে না। ধৈর্য সহকারে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখার ৭ টি উপায়

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার ৬ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বর্তমানে আমাদের সকলের হাতে হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিংস শিখে ভালো মানের আয় করতে পারেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা প্রচুর। ফ্রিল্যান্সিং শিখে আই করার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ তরুণ তরুণী বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাচ্ছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার ৭ টি উপায় সম্পর্কে।

  • প্রডাক্টিভিটি অ্যাপস ব্যবহারঃ Trello, Notion, Asana, Microsoft office, Google Workplace এই অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট করতে শিখুন। এগুলো শিখতে বেশ বেশসময়ের সময়ের প্রয়োজন। তাই সময় দিয়ে মনোযোগ সহকারে শিখুন। এই অ্যাপসগুলো ব্যবহার ভালোভাবে শিখে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে অনলাইন মার্কেটপ্লেস অনেক কাজ পেয়ে যাবেন। ফলে আপনি ভালো মানের আয় করতে পারবেন।
  • আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজের জনপ্রিয়তা প্রচুর। আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে অনেক কাজ পেয়ে যাবেন। এরফলে আপনি ভালো মানের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজ আপনি মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই করতে পারবেন। আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য text editor app এর প্রয়োজন পড়ে। এই অ্যাপসটি আপনার কনটেন্টের কাজকে অনেক সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করবে। আর্টিকেল রাইটিংয়ের জন্য Notepad, Microsoft office word, WPS office, Google docc এই অ্যাপসগুলো ইনস্টল করে ব্যবহার করতে হবে।
  • ওয়েব ডিজাইনঃ মোবাইলের মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইনের কাজ শিখেতে পারবেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ওয়েব ডিজাইনের কাজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। তাই আপনি ওয়েব ডিজাইনের কাজে দক্ষতা অর্জন করলে  মার্কেটপ্লেসে অনেক কাজ পেয়ে যাবেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে আপনি অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ওয়েব ডিজাইনের বেসিক কাজগুলো সঠিকভাবে করার জন্য আপনার কিছু অ্যাপসের প্রয়োজন পড়বে। Programming hero, Solo Learn, W3 schools, Free code camp এই অ্যাপসগুলোর মাধ্যমে আপনি ওয়েব ডিজাইনের কাজ করতে পারবেন।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইনের জনপ্রিয়তা প্রচুর। একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ গ্রাফিক ডিজাইনার মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে থাকে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেক সেক্টর রয়েছে। সেই সেক্টরগুলোর অনেক কাজ মোবাইল দিয়ে করা যায়। যেমনঃ ব্যানার ডিজাইন, ভিক্টর ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, পিএনজি ডিজাইন। এই বিষয়গুলোর উপর দক্ষতা অর্জন করলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ পেয়ে যাবেন। মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করার জন্য কিছু অ্যাপসের প্রয়োজন পড়ে। যেমনঃ Adobe Photoshop touch, Camtasia, Canvapro, Pics Art, Pixlab ইত্যাদি। আরো অনেক অ্যাপস রয়েছে যেগুলো দিয়ে আপনি খুব সহজেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারবেন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ আপনি একটি ভাল মনের পিসি, ল্যাপটপ বা মোবাইল কিনতে চাচ্ছেন। তাহলে  আপনি কিনার আগে অবশ্যই কোন কোম্পানির কিনবেন? সেগুলোর দাম কত? কোয়ালিটি কেমন হতে পারে? এছাড়াও আরো বিভিন্ন বিষয়ে ভালোভাবে যাচাই করার পরে কিনবেন। এই বিষয়গুলো ভালোভাবে জানার জন্য আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক অফিশিয়াল পেজে নক দেয়। নক দেওয়ার পরে পরে আমরা যেই  প্রশ্নগুলো করি‌। কিছু সময় পর সেই প্রশ্নের উত্তরগুলো পেয়ে যায়। এই যে আমাদের প্রশ্নের উত্তর গুলো যারা দিচ্ছে। তাদের পিসি, ল্যাপটপ বা মোবাইল কোম্পানি অর্থের বিনিময়ে রেখেছেন। তারা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ করে ভালো মানের আয় করে থাকে। তাহলে আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে ইচ্ছুক হন। তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারে কাজ করতে পারেন। এই কাজটি করার মাধ্যমে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। 
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হলো বিভিন্ন গ্রাহকের পক্ষ থেকে তাদের কাজগুলো করে দেওয়া। মোবাইল দিয়ে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করা যায়। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজে দক্ষতা অর্জন করে কাজ করলে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন‌। এপয়েন্টমেন্ট সিডিউল, ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া, কমেন্টের উত্তর দেওয়া, কন্টেন্ট পোস্ট করা, স্ট্রাটেজি তৈরি করা ইত্যাদি ছোট ছোট অনেক কাজ রয়েছে। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মধ্যে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজের চাহিদা বর্তমানে প্রচুর রয়েছে। মোবাইল দিয়ে আপনি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করতে পারবেন। তাই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর যাত্রা শুরু করতে পারেন। 
  • ভিডিও এডিটিংঃ বর্তমানে ভিডিও এডিটিং এর জনপ্রিয়তা প্রচুর। বর্তমান মার্কেটপ্লেসে ভিডিও এডিটিং এর কাজ প্রচুর রয়েছে। আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এর কোর্সগুলো করে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ভিডিও এডিটিং এর অনেক কাজ পেয়ে যাবেন। ব্র্যান্ডের প্রমোশনাল, সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব ইত্যাদি অনলাইন প্লাটফর্মের জন্য নানা ধরনের ভিডিও এডিটিং এর প্রয়োজন হয়। তাই বর্তমানে ভিডিও এডিটর এর চাহিদাও প্রচুর রয়েছে

মোবাইল দিয়ে কোন কাজ শিখা সহজ

মোবাইল দিয়ে কোন কাজ শিখা সহজ এই বিষয়ে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেক কাজ রয়েছে। যেগুলো শিখে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা সম্ভব। তবে কিছু কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে আপনি খুব সহজেই করতে পারেন। যেমনঃ ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং। 

এই কাজগুলো আপনি খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে শিখতে পারেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং এর চাহিদা প্রচুর। তাই আপনি যদি এই বিষয়গুলো ভালোভাবে শিখে আপনার দক্ষতা বাড়াতে পারেন। তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে এই কাজগুলো অনায়াসে করতে পারবেন। এছাড়াও ভালো মানের টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কোন অ্যাপসগুলো প্রয়োজন

আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং আগ্রহী হন। তবে শিখার জন্য অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট অ্যাপসের প্রয়োজন পড়বে। যেই অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারবেন। একেক  স্কিলের জন্য একেক রকম অ্যাপসের প্রয়োজন পড়ে। আপনি যেই স্কিলে দক্ষতা অর্জন করেছেন। সেই স্কিল অনুযায়ী আপনাকে অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। 

যেমন ধরুন আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে চান। তাহলে আপনাকে Adobe Premiere Rush, Kinemaster, ln shot অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য Canva, Abode Spark এই অ্যাপসগুলো  ডাউনলোড করতে হবে। Google docs, Microsoft word এই অ্যাপসগুলো আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য ডাউনলোড করতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন একেক কাজের জন্য একেক রকম অ্যাপস এর প্রয়োজন হয়।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন মার্কেটপ্লেস ভালো

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে অনেক জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস রয়েছে। এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে নিজের উন্নত মানের ও সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেড রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ আপনি মোবাইলে করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য মার্কেটপ্লেসে আপনাকে একটি সুন্দর এবং মনোরম আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। সেই প্রোফাইলে আপনার কাজের বর্ণনা দিয়ে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে হবে। অনেকেই এখন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যেই মার্কেটপ্লেসগুলো বেশি জনপ্রিয় তা নিম্নে দেওয়া হলঃ

মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-করার-জন্য-কোন-মার্কেটপ্লেস-ভালো

  • Upwork
  • Fiverr
  • Kework
  • Guru.com
  • people per hour 
  • freelancer.com 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কি লাভজনক

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কি লাভজনক? হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং লাভজনক। তবে সেটি নির্ভর করবে আপনার স্কিলের দক্ষতা ওপর‌। এছাড়া আপনি কতটা সময় ধৈর্য সহকারে সেই কাজের জন্য ব্যয় করছেন তার উপর। বর্তমানে অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করছে। মোবাইল দিয়ে আপনি ভিডিও এডিটিং, সোশ্যাল মিডিয়াম ম্যানেজমেন্ট, আর্টিকেল রাইটিং এর মতো কাজগুলো করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য খরচ অনেক কম হয়। আপনি কোনো স্কিলের উপর ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে লাভবান হতে হলে অবশ্যই আপনাকে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠতে হবে।

আরো পড়ুনঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি 

এছাড়াও গ্রাহকের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সুন্দর মনোরম এবং আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। প্রোফাইলের ভেতরে আপনার কাজের সকল রকম বর্ণনা দিয়ে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে হবে।‌ গ্রাহকের সাথে প্রফেশনাল ভাবে কথা বলতে হবে। গ্রাহকের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে সেই গ্রাহক আপনাকে ভবিষ্যতে আরো কাজ দিবে। এছাড়াও আপনি যদি ভালো রিভিউ পান তাহলে ভবিষ্যতে আপনার আরও প্রচুর কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আপনি যদি মোবাইলের সঠিক ব্যবহার এবং সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ধৈর্য সহকারে কাজ করেন তাহলে ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ ফ্রিল্যান্সিং করে লাভবান হতে পারবেন। ভালো মানের টাকা আয় করার মাধ্যমে নিজের সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কত সময় লাগে

বর্তমানে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখার প্রতি মানুষের আগ্রহ  দিন দিন বাড়ছে। তবে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকে, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কত সময় লাগতে পারে? মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য সময় নির্ভর করে আপনার কাজ শেখার গতির উপর। এছাড়াও মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার সময় কাল এর উপর নির্ভর করে। ভিডিও এডিটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের জন্য বেশ কিছু সময়ের প্রয়োজন পড়তে পারে।

কারণ এই কাজগুলো পাওয়ার জন্য ক্রিয়েটিভিটির ও টেকনিক্যাল জ্ঞান, প্রচুর দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে। আপনার যদি স্কিল ডেভেলপমেন্ট ভালো হয় এবং আপনার প্রোফাইল মনোরম আকর্ষণীয় হয়। প্রোফাইলের ভেতরে আপনার কাজের বর্ণনা সুন্দর ও সঠিকভাবে উপস্থাপন করা থাকে। তবে খুব সহজেই আপনি ক্লায়েন্ট বা গ্রাহক পেয়ে যাবেন। একবার আপনি কাজ পেয়ে গেলে পরবর্তীতে খুব সহজেই কাজ পেয়ে যাবেন।

মোবাইল দিয়ে কিভাবে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করতে হয়

ফ্রিল্যান্সিংয়ের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করা। আপনি মোবাইল দিয়ে গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট অ্যাপসের প্রয়োজন রয়েছে। যেগুলো ব্যবহার করে আপনি গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করবেন। বর্তমানে গ্রাহকের সাথে যোগাযোগের সবচেয়ে প্রচলিত মাধ্যম হচ্ছে ইমেইল। আপনি মোবাইলে আউটলুক বা জিমেইল অ্যাপস ব্যবহার করে গ্রাহকের সাথে খুব সহজভবে যোগাযোগ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি গুগল ম্যাপ, টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি অ্যাপস ব্যবহার করে গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। 

কাজের আপডেট ফাইল শেয়ারিং, প্রজেক্ট এর ডিটেইলস দেওয়ার জন্য এই অ্যাপসগুলো কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এই অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব  তাড়াতাড়ি মেসেজ পাঠাতে পারবেন এবং রিসিভ করতে পারবেন। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের গুলোর তাদের নিজস্ব যোগাযোগের সিস্টেম রয়েছে। সেই সিস্টেম ব্যবহার করে আপনি গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। Upwork, Fiverr এই মার্কেটপ্লেসগুলোর গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করা অনেকে সহজ। আপনার কাজের যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় রাখতে পারবেন এবং সহজে ম্যানেজ করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য জনপ্রিয় ও নিরাপদ মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কয়েকটি নিরাপদ এবং জনপ্রিয় মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে।  আপনি বিকাশ, ক্রিপ্টোকারেন্সি, ওয়াইজ পেপাল। পেইওনার, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সাররা নিরাপদ ভাবে তাদের পেমেন্ট তুলতে পারে। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য জনপ্রিয় ও নিরাপদ মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম নিম্নে দেওয়া হলঃ

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে কোটি টাকা আয়ের উপায়

Paypal: এটি একটি অন্যতম পেমেন্ট সিস্টেম। যেটি ফ্রিল্যান্সারদের কাছে খুবই জনপ্রিয় এবং নিরাপদ। যেটি ব্যবহার করে ছিলাম ফ্রিল্যান্সাররা খুব সহজে নিরাপদ ভাবে গ্রাহকের কাছ থেকে পেমেন্ট নিতে পারে।

Payoneer: এটি ফ্রিল্যান্সারদের কাছে প্রচুর নিরাপদ এবং জনপ্রিয় একটি মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম। এই সিস্টেমে টাকা তোলার জন্য মাস্টার কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। মাস্টার কার্ড দিয়ে এটিএম থেকে আপনি খুব সহজেই টাকা তুলতে পারবেন।

Mobile banking app: আমাদের দেশের ব্যাংকিং অ্যাপস গুলো ফ্রিল্যান্সিং পেমেন্ট গ্রহণের জন্য অনেক নিরাপদ।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে খরচ কেমন হয়

 মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে খরচ কেমন হয়? সেই সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে আলোচনা করব। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান। তাহলে চিন্তার কোন বিষয় নেই। কারণ মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে খরচ অনেক কম হয়। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, কন্টেন রাইটিং এই স্কিলগুলো শেখার জন্য ইউটিউবে অনেক ফ্রি রিসোর্স ও টিউটোরিয়াল রয়েছে। যেগুলো দেখে আপনি খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। এছাড়াও ভিডিও এডিটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখার জন্য আপনি থ্রি অ্যাপ ক্যানভাস ইনস্টিউট ব্যবহার করতে পারবেন।

মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-শিখতে-খরচ-কেমন-হয়

কিন্তু আপনি যদি প্রিমিয়াম টুলস বা পেইড কোর্স ব্যবহার করে শিখতে চান তাহলে খরচ তুলনামূলক বেশি হবে। যেমন ধরুন প্রিমিয়াম ভিডিও এডিটিং বা ক্যানভা প্রো এই অ্যাপসগুলো ব্যবহার করার জন্য টাকার প্রয়োজন পড়ে। এই অ্যাপসগুলো টাকা দিয়ে কিনে নিতে হয়। তবে আমি মনে করি প্রথমে ফ্রিল্যান্সং শিখার জন্য ফ্রি টুলস বা রিসোর্স ব্যবহার করে শিখে দক্ষতা অর্জন করে কাজ শুরু করা ভালো। তারপরে যখন আপনার আস্তে আস্তে দক্ষতা অর্জন হয়ে যাবে। প্রফেশনাল ভাবে নিজেকে ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারবেন। তখন আপনি অ্যাপসগুলো কিনে ব্যবহার করুন।

লেখকের শেষ কথা (মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব) 

আজকের আর্টিকেলটিতে,আমরা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব? সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। মোবাইল দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। তবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে একটু সময় লাগতে পারে। তবে অসম্ভব কোন ব্যাপার নয়। 

কঠোর পরিশ্রম করে চেষ্টা করলেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব। আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এবং ধৈর্য ও সহকারে ফ্রিল্যান্সিং শিখে কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনি ভালো মানের আয় করতে পারবেন। নিজের একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন। এর ফলে আপনি উন্নত জীবন যাপন করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাম্ভ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url