গর্ভাবস্থায় কলার মোচা ও থোড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা


গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গর্ভবতী মা ও পেটের  শিশুর সুস্থতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কলার মোচা ও থোড় প্রচুর উপকারী ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সুস্বাদু সবজি।




গর্ভাবস্থায় কলার মোচা ও থোড় খাওয়ার পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। তাই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আসুন শুরু করা যাক এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।

পোস্ট সূচিপত্র : গর্ভাবস্থায় কলার মোচা ও থোড় খাওয়ার পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কলার মোচা ও থোড় খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন 

  • কলার মোচা ও থোড় সুস্বাদু সবজি। কলার মোচা ও থোড় অনেক মানুষই পছন্দ করে। কলার মোচা ও থোড় কাঁচা কলার মত সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়। কলার মোচা ও থোড় পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি। কলার মোচা ও থোড়ে আয়রন, ফাইবার, বিভিন্ন ভিটামিন, আঁশ, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। 
  • এই পুষ্টি উপাদান গুলো গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক  উপকারী ও গুরুত্বপূর্ণ। কলার মোচা ও থোড়ে থাকা পুষ্টিগুণ গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য যেমন ভালো রাখে তেমনি শিশুর সুস্থ বিকাশে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থায় কলার মোচা ও থোড় খাওয়ার উপকারিতা প্রচুর। আসুন জেনে নেওয়া যাক কলার মোচা ও থোড় এর উপকারিতা গুলো।
আরো পড়ুনঃ 
  • কলার মোচা ও থোড়ে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ বিদ্যমান। ভিটামিন এ গর্ভবতী মায়ের গর্ভে থাকা শিশুর দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। 
  • কলার মোচা ও থোড়ের ভিটামিনসমূহ গর্ভবতী মায়ের গর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্কের গঠন সুষ্ঠু ও সুদৃঢ় করে তোলে। 
  • কলার মোচা ও থোড় দৈহিক গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • কলার মোচা ও থোড় গর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। 
  • কলার মোচা ও থোড় শিশুর চুল ও ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে। মসৃণ ও সুন্দর করে তোলে।
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের খাবারের দিকে সঠিকভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। মা ও পেটে থাকা শিশুর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন যুক্ত পুষ্টিকর সুষম খাবার খাওয়া খুবই জরুরী। গর্ভাবস্থায় কলার মোচা ও থোড় একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী সবজি। তাই গর্ভাবস্থায় প্রতিটি গর্ভবতী মায়েরই কলার মোচা ও থোড় খাওয়া প্রচুর উপকারী ও গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোন খাদ‍্যই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো না। অতিরিক্ত খেলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই পরিমিত পরিমাণ খেতে হবে। তাহলে খাবারের পুষ্টিগুণ সঠিকভাবে শরীরের উপকারে আসবে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।

গর্ভাবস্থায় কলার মোচা ও থোড় খাওয়ার সঠিক নিয়ম

কলার মোচা ও থোড় গর্ভাবস্থায় খাওয়া নিরাপদ। কিন্তু কোন কিছু অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয়। এইজন্য পরিমিত পরিমাণ খেতে হবে। অতিরিক্ত খেলে গ্যাস বা এসিডিটি হতে পারে। ভালোভাবে ধুয়ে সিদ্ধ করে রান্না করে খেতে হবে। যাদের কলার মোচা ও থোড়ে এলার্জি রয়েছে। তাদের এই কলার মোচা ও থোড় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় কলার মোচা ও থোড় সঠিক নিয়ম মেনে খেতে হবে। সপ্তাহে দুই তিন দিন পরিমিত পরিমাণ খাওয়া যেতে পারে। রান্নার আগে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ঝাল কম করে দিয়ে ভালোভাবে সিদ্ধ করে রান্না করে খেতে হবে। যাতে খুব সহজেই হজম হয়। খাওয়ার পর যদি কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

 কলার মোচা ও থোড়ির পুষ্টিগুণ সমূহ জেনে নিন

কলার মোচা ও থোড় পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি। কলার মোচা ও থোড়ের দাম অনেক সহজলভ্য এবং বাজারে সহজেই কিনতে পাওয়া যায়। গ্রাম অঞ্চলে কলার গাছ বেশি হওয়ায় গ্রামে সহজেই কলার মোচা ও থোড় পাওয়া যায়। 

কলার মোচা ও থোড়ে অনেক বেশি পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। যা মানুষ কল্পনাই করতে পারবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক কলার মোচাতে বিদ‍্যমান পুষ্টিগুণ সমূহ। 

আরো পড়ুনঃ 

প্রতি ১০০ গ্রাম কলার মোচায় থাকে - প্রোটিন ১.৭ গ্রাম ভিটামিন এ, সি, বি৬ ৪২০ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩২ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৫.১ গ্রাম, ফসফরাস ৪২ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.৬ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১২৫ গ্রাম, থায়ামিন ০.৫ গ্রাম, ফ্যাট ০.৭ গ্রাম।

কলার থোড়ে পুষ্টিগুণ সমূহ -  ফাইবার, পটাশিয়াম ভিটামিন বি৬, আয়রন ইত্যাদি।

চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কলার মোচা ও থোড়

আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে চোখ অন্যতম অমূল্য সম্পদ। আমাদের চোখের কোন সমস্যা হলে আমরা বুঝতে পারি চোখের মূল্য কতটা। আমাদের চোখের যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ভিটামিন এ।  ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। কলার মোচা ও থোড় ভিটামিন এ যুক্ত সবজি।

বর্তমান সময়ে আমাদের অনেক কম বয়সে চোখের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ছোট ছোট বাচ্চাদের চোখের সমস্যার কারণে চশমা ব্যবহার করতে দেখা যায়। কলার মোচা ও থোড়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বিদ্যমান। কলার মোচা ও থোড় খেলে আমরা রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি পাব।

এছাড়াও গর্ভবতী মায়ের জন্য ভিটামিন এ খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। ভিটামিন এ গর্ভবতী মা ও পেটে থাকা শিশুর প্রচুর উপকার করে। সেই জন্য গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় কলার মোচা ও থোড় যুক্ত করুন। গর্ভবতী মা ও শিশু সুস্থতা বিকাশে সহায়তা করুন।

 রক্তস্বল্পতা দূর করতে কলার মোচা ও থোড়

রক্তস্বল্পতা সমস্যাটি অনেকের দেখা দেয়। রক্তস্বল্পতার অন্যতম কারণ হচ্ছে আয়রনের অভাব বা হিমোগ্লোবিনের সমস্যা। আয়রনের একটি বড় উৎস আসে কলার মোচা ও থোড় থেকে । হিমোগ্লোবিন হলো রক্তের মূল উপাদান। হিমোগ্লোবিনের সমস্যা সমাধান করতে কলার মোচা ও থোড় প্রচুর উপকারী সবজি। দেহে রক্তের সামঞ্জস্য ঠিক রাখতে ও রক্তস্বল্পতা দূর করতে কলার মোচা ও থোড়ের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।

হিমোগ্লোবিন ও রক্তস্বল্পতা সমস্যা দূর করতে আমাদের কলার মোচা ও থোড় খাওয়া প্রয়োজন। শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে আয়রনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের বেশিরভাগ সময় রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। একটি শিশুর মস্তিষ্ক গঠনের ৭০ ভাগ কাজ হয়ে থাকে মায়ের গর্ভে থাকার সময়। এই জন্য রক্তস্বল্পতা দূর করতে ও শিশুর সুস্থ ও সঠিকভাবে মস্তিষ্ক গঠনের কাজে সহায়তা করতে গর্ভবতী মায়েদের কলার মোচা ও থোড় খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় কলার মোচা ও থোড় যুক্ত করুন। গর্ভবতী মা ও শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করুন।

ত্বক ভালো রাখতে কলার মোচা ও থোড়

ত্বক মানুষের সৌন্দর্যের একটি অন্যতম বিষয়। ত্বক সুন্দর ও ভালো রাখতে আয়রন ও ভিটামিন সি  সহায়তা করে। কলার মোচা ও থোড়ের বিদ্যমান আয়রন ও ভিটামিন সি আমাদের ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ করে। সুতরাং আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে কলার মোচা ও থোড় খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।

ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে  ভিটামিন সি এর গুরুত্ব অপরিসীম। কলার মোচা ও থোড়ের ভিটামিন সি গর্ভে থাকা শিশুর ত্বকের জন্য উপকারী। কলার মোচা ও থোড় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে  সহায়তা করে। গর্ভাবস্থায় মায়েদের খাদ্য তালিকায় কলার মোচা ও থোড় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে মা ও শিশুর ত্বক ভালো রাখবে ও বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি লাভ করবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত রোগ দূর করতে কলার মোচা ও থোড়

আমাদের অতি পরিচিত একটি রোগ হল কোষ্ঠকাঠিন্য। যদি আপনার দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন‍্য রোগ হয়ে থাকে এবং কোনোভাবে এই রোগের থেকে মুক্তি পাচ্ছেননা তাহলে কলার মোচা ও থোড় এর সহায়তা নিতে পারেন। কেননা কলার মোচা ও থোড়ে প্রচুর পরিমাণ আঁশ বা ফাইবার থাকে। আঁশ বা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে মুক্তি দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 আরো পড়ুনঃ 

গর্ভবতী মায়েদের কোষ্ঠকাঠিন‍্য রোগটি অনেক বেশি দেখা দেয়। আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি যে, কলার মোচা ও থোড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ বা ফাইবার থাকে। আঁশ বা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে সারাতে সহায়তা করে। তাই গর্ভাবস্থায় এই রোগ থেকে মুক্তি লাভের জন্য কলার মোচা ও থোর গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন। কলার মোচা ও থোড় খাওয়ার ফলে সহজে গর্ভবতী মা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারবে এবং সুস্থ থাকবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কলার মোচা ও থোড়

শরীর যে পরিমাণ রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা বা লড়াই করার ক্ষমতা রাখে তাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলে। আপনার শরীরে যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়। তবে আপনি খুব সহজে বিভিন্ন রোগের সম্মুখীন হবেন। কলার মোচা ও থোড়ে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি অনেক রকমের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। এই পুষ্টি উপাদান গুলো রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। শরীরের বিভিন্ন ছোট ছোট রোগ থেকে রক্ষা করে।

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা যত বৃদ্ধি পাবে গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য তত ভালো হবে। গর্ভবতী মা ও শিশুর রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে সহায়তা করার জন্য গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় কলার মোচা ও থোড় যুক্ত করুন। কশলার মোচা ও থোড় খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মা বিভিন্ন ছোট ছোট রোগের হাত থেকে বাঁচতে পারবে। ফলে গর্ভবতী মা ও শিশু উভয়ই সুস্থ থাকবে।

পেটের গ্যাস বা আলসার জনিত সমস্ত রোগ দূর করতে কলার মোচা ও থোড়

অনেকেই লম্বা সময় ধরে পেট বা গ্যাসের সমস্যায় কষ্ট পেয়ে থাকে। আমরা পেটের গ‍্যাস বা আলসার রোগটির হাত থেকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাঁচতে পারি। গ্যাস বা আলসার এর মত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কলার মোচা ও থোড় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ  সবজি।কলার মোচা ও থোড় খেলে এই রোগ থেকে মুক্তি লাভ পাওয়া যাবে।

কলার মোচা ও থোড় খেলে শুধু গ্যাস নয় পেটের বিভিন্ন ছোট ছোট রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব। কলার মোচা ও থোড় অনেক উপকারি সবজি। গর্ভাবস্থায় গ্যাস বা পেটের বিভিন্ন ছোট ছোট রোগ থেকে বাঁচতে গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় কলার মোচা ও থোড় যুক্ত করুন। এই সবজিগুলো খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মা ও শিশু বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাবে। গর্ভবতী মা ও শিশু উভয়ে সুস্থ থাকবে।

কলার মোচা ও থোড়ের আরো অন্যান্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

  • ত্বকে সুন্দর ও উজ্জ্বল করে। ত্বক আরো আকর্ষণীয় করে তোলে।ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ইত্যাদি দূর করতে সহায়তা করে।
  • রক্তস্বল্পতা দূর করে রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • হিমোগ্লোবিন সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। 
  • দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে মুক্তি লাভে সহায়তা করে।
  • চুল পড়া রোধ করে। চুলকে ঘন, মজবুত, শক্ত ও আকর্ষণীয় করে।
  • গ্যাস বা আলসার জনিত রোগ সারাতে সহায়তা করে।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
  • শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
  • গর্ভবতী মায়ের পেটে থাকা শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে।
  • হৃদপিন্ডের কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
  • গলগন্ড রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে।
  • দাঁতকে শক্ত ও মজবুত করতে সহায়তা করে।
  • মহিলাদের হাড় শক্ত ও মজবুত করতে সহায়তা করে।
  • গলা ব্যথা ও কাশির সমস্যা সমাধান করতে সহায়তা করে।
  • রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।
  • মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে সহায়তা করে।

 কলার মোচা ও থোড়ের অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

  • কলার মোচা ও থোড়ের অপকারিতা স্বল্প। কলার মোচা ও থোড়ে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিক নেই। মাঝে মধ্যে ছোট ছোট রোগের উৎপত্তি হয়।  কলার মোচা ও থোড় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যুক্ত সবজি।
  • একসাথে অনেক বেশি কলার মোচা ও থোড় খাওয়ার ফলে পেটব্যথা ও গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কলার মোচা ও থোড় পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। 
  • যাদের এলার্জিজনিত রোগ রয়েছে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শে কলার মোচা ও থোড় খাওয়া উচিত। কলার মোচা ও থোড়ে বিদ্যমান ফেনোলিক অ্যাসিড এলার্জি জনিত রোগের সৃষ্টি করে।
  • রক্তচাপ খুব কম থাকলে কলার মোচা ও থোড় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ কলার মোচা ও থোড় রক্তচাপ আরো কমিয়ে দেয়। 
  • আঁশ যুক্ত হওয়ায় কলার মোচা ও থোড় বেশি পরিমাণ খেলে বদহজম হয়।

লেখক এর শেষ কথা 

আপনারা অনেকেই হয়তো আগে থেকে জানতেন না যে কলার মোচা ও থোর গর্ভবতী মায়ের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী সবজি।  আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল টি পড়ে কলার মোচা ও থোড় খাওয়ার পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছেন। 

এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।  তাহলে আপনার বন্ধুরাও এই আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হতে পারবে। এরকম বিভিন্ন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url