কানাডা যেতে কত টাকা লাগে, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

উত্তর আমেরিকার কানাডা অর্থনৈতিক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অন্যতম উন্নত একটি ধনী দেশ। কানাডাতে বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ চাকরি, পড়াশোনা এবং ভ্রমণ এর জন্য যায়। কানাডা যেতে কত টাকা লাগে, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন এসব বিষয়ে অনেকেই আপনারা জানেন না। 

কানাডা-যেতে-কত-টাকা-লাগে

তাই আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলটিতে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ও কানাডা যাওয়া সম্পর্কে অন্যান্য আরো বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যারা এসব বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক। তারা এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ কানাডা যেতে কত টাকা লাগে, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন 

কানাডা যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

উত্তর আমেরিকার কানাডা অর্থনৈতিক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অন্যতম উন্নত একটি ধনী দেশ। কানাডাতে প্রচুর চাকরির সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এইজন্য এই দেশটিতে যাওয়ার জন্য দিন দিন কানাডা ভিসার চাহিদা বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ কানাডার যেতে চায়। কানাডা যাওয়ার জন্য অবশ্যই কানাডা যেতে কত টাকা লাগে সেই সম্পর্কে জানতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কানাডা যেতে কত টাকা লাগে সেই সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে ও ভিসা পাওয়ার উপায়

কানাডা দুইভাবে যাওয়া যায়। প্রথমত সরকারিভাবে ও দ্বিতীয়ত বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে। আপনি যদি সরকারিভাবে কানাডা যেতে পারেন তাহলে আপনার খরচ অনেক কম হয়ে থাকে। সরকারিভাবে কানাডার ভিসা করতে প্রায় ৪ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা লাগতে পারে। আবার বেসরকারিভাবে এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যদি যান। তাহলে খরচ তুলনামূলক বেশি হয়। এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে গেলে 10 লাখ থেকে 12 লাখ টাকা লাগতে পারে। স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে ৫ লাখ টাকা মতো লাগতে পারে। টুরিস্ট ভিসায় ৪ লাখ টাকা মতো লাগতে পারে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ১২ লাখ টাকা মতো লাগতে পারে । কৃষি ভিসায় ৮ লাখ টাকা মতো লাগতে পারে।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কি

উত্তর আমেরিকার মধ্যে অন্যতম উন্নত ও ধনী একটি দেশ কানাডা। কানাডা যাওয়া অনেক মানুষের স্বপ্ন। কানাডা যাওয়ার জন্য কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে হয়। তবে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার আগে অবশ্যই আপনাকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কি এই সম্পর্কে জানতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কি সেই সম্পর্কে।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হলো এমন একটি আইনি দলিল বা নীতি যা বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিদেশী কর্মীদের জন্য কানাডাতে বৈধভাবে নির্দিষ্ট সময়ের কাজ করার অনুমতি দেয়। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের কানাডাতে কোন একটি নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করার অনুমতি দেয়। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে একটি বৈধ কর্মসংস্থান ও একাধিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ২০২৫

উত্তর আমেরিকার অন্যতম একটি উন্নত ধনী দেশ হলো কানাডা। কানাডাতে যাওয়া অনেক মানুষের ইচ্ছে বা স্বপ্ন থাকে। কানাডাতে যাওয়ার জন্য অবশ্যই কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ২০২৫ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। এ সম্পর্কে ভালোভাবে জানলে আপনি সঠিকভাবে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে পারবেন। অনেকেই কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ২০২৫ সম্পর্কে জানেন না। আসুন জেনে নেওয়া যাক কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত। 

  • প্রথমে আপনি আপনার জন্য কানাডা ওয়ার্ক পারমিট বাছাই করুন। খোলা বা ওপেন ওয়ার্ক পারমিট এবং  নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার জন্য বা এমপ্লয়ার স্পেসিফিক ওয়ার্ক পারমিট। এই দুইটির মধ্যে একটি আপনাকে বাছাই করতে হবে। 
  • আপনি আপনার পছন্দ এবং দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কানাডার চাকরি পোর্টাল গুলি ব্যবহার করে কানাডার কোম্পানির সরাসরি সাইটে গিয়ে চাকরির সুযোগ গুলো খুঁজুন। 
  • আপনি যদি আপনার জন্য নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার জন্য বা এমপ্লয়ার স্পেসসিফিক ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করেন। তাহলে যে নিয়োগকর্তা তাকে LMIA পেতে হবে। LMIA হলো সরকারি কাজের পদ্ধতি। এর মাধ্যমে কানাডার সরকার বিদেশি কর্মীদের আগে কাজের নিয়োগ দেন। সেখানে স্থানীয় কর্মীদের জন্য কোন কাজ করার সুযোগ থাকে না। 
  • আপনার নিয়োগকর্তা যদি LMIA আবেদন করার মাধ্যমে অনুমোদন পায়। তবে আপনি আপনার ওয়ার্ক পারমিট বা কাজ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। 
  • আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করতে চান। তবে প্রথমে আপনাকে IRCC ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে। এরপর আপনি আপনার আবেদন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস স্ক্যান করে আপলোড করতে পারবেন।
  • আর যদি অফলাইনে আবেদন করতে চান। তাহলে আপনাকে প্রথমে আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করার পরে প্রিন্ট করে সঠিকভাবে সকল তথ্য পূর্ণ করে ভিসা সেন্টারে জমা দিতে হবে। 
  • কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের জন্য অবশ্যই আপনাকে ফি পরিশোধ করতে হবে। 
  • আপনি আবেদন করার পর ফি অনলাইন বা অফলাইনে পরিশোধ করতে পারবেন। 
  • আবেদন ফি পরিশোধ করেছেন এর সঠিক প্রমাণ আপনাকে অবশ্যই জমা দিতে হবে। 
  • কানাডা সরকারের ইমিগ্রেশন সাইটে আবেদন ফি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন।
  • আপনাকে বায়োমেট্রিক্স ও মেডিকেল পরীক্ষা দিতে হবে।
  •  আপনার আবেদন জমা দেওয়ার সময় আপনাকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ছবি দিতে হতে পারে। এটি বায়োমেট্রিক্স পরীক্ষা। বায়োমেট্রিক্স পরীক্ষাটি নিরাপত্তা যাচাই এর কর্মপদ্ধতি।
  • কানাডা সরকারের নির্দেশে আপনার শরীর সুস্থ আছে কিনা তাই জানার জন্য আপনাকে মেডিকেল পরীক্ষা বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। 
  • আপনাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দিতে হবে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দেওয়ার ফলে প্রমাণ হবে যে আপনি কোন ধরনের অপরাধ বা সন্ত্রাসমূলক কাজের সাথে জড়িত নন।
  • আপনাকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে। আপনার সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে আপনার যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা, কানাডাতে কাজ করার পরিকল্পনা, আপনার ভেতরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হতে চায়। 
  • আপনার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পরে কানাডার কর্তৃপক্ষ সবকিছু ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করার পর আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার অনুমোদন দিবে।
  • কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অনুমোদন আপনি পেয়ে গেলে। সেখানে গিয়ে আপনি একটি নির্দিষ্ট কাজ শুরু করতে পারবেন।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কত প্রকার 

উত্তর আমেরিকার মধ্যে অন্যতম উন্নত ও ধনী একটি দেশ কানাডা। কানাডা যাওয়া অনেক মানুষের স্বপ্ন। কানাডা যাওয়ার জন্য অবশ্যই কানাডা যাওয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাকে জানতে হবে। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কত প্রকার হয় অনেকেই জানেন না।আসুন জেনে নেওয়া যাক কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কত প্রকার। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা মূলত দুই প্রকারের হয়। 

  • খোলা বা ওপেন ওয়ার্ক পারমিটঃ খোলা বা ওপেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আপনি কানাডাতে যেকোনো নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করার অনুমতি পাবেন। এই ভিসাতে কোন নির্দিষ্ট কোম্পানি বা পেশার মধ্যে আপনাকে কাজ করতে হবে না। কানাডা খোলা বা ওপেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে গেলে আপনি আপনার নিজের পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো চাকরি করতে পারবেন। 
  • নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তা বা এমপ্লয়ার স্পেসিফিক ওয়ার্ক পারমিটঃ এই ভিসাটির মাধ্যমে যদি আপনি যান তাহলে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট নিয়োগ কর্তার অধীনে বা আয়ত্বে কাজ করতে হবে। এই ভিসার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট নিয়োগ কর্তার অধীনে বা আয়ত্বে কোম্পানিতে বৈধভাবে কাজ করতে পারবেন।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

উত্তর আমেরিকা মধ্যে অন্যতম উন্নত ও ধনী দেশ হল কানাডা। কানাডা অনেক যাওয়া অনেক মানুষের স্বপ্ন। অনেক মানুষ কানাডা কাজের জন্য যেতে চায়। কানাডা যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগবে তা সম্পর্কে জানতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কানাডা ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগবে সেই সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ ইতালি কৃষি ভিসা ২০২৫ আবেদন ফরম

  • কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে
  • জবের বা চাকরির অফার লেটার 
  • LMIA অনুমোদন 
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি 
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড 
  • ওয়ার্ক পারমিট 
  • ভাষার দক্ষতার সার্টিফিকেট 
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট 
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট 
  • কাজের চুক্তিপত্র 
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন বা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট  
  • ফি পরিশোধের ডকুমেন্টস

২০২৫ সালে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রবাসীদের জন্য 

২০২৫ সালের কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার ধরন কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। কিছু নতুন নিয়ম যোগ হতে পারে। তাই এই বিষয়ে সকল সঠিক তথ্য নিয়মিত পেতে আপডেট থাকা অত্যন্ত জরুরি। ২০২৫ সালে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রবাসীদের জন্য অনেক সহজ ও কার্যকর হতে পারে। ২০২৫ সালে কানাডাওয়ার্ক পারমিট ভিসা সকল প্রক্রিয়া অনলাইনের সাহায্যে হতে পারে।  

২০২৫-সালে-কানাডা-ওয়ার্ক-পারমিট-ভিসা-প্রবাসীদের-জন্য

২০২৫ সালে LMIA পেতে সময় অপচয় কম করার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া চালু হতে পারে। কানাডার সরকার অন্যান্য দেশ থেকে আসা বিদেশি কর্মীদের জন্য জ্ঞান, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালু করতে পারে। আরো বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য কানাডার দূতাবাসে যোগাযোগ করুন। এর ফলে আপনি ২০২৫ সালে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রবাসীদের জন্য সকল তথ্য ভালোভাবে জানতে পারবেন।

কানাডায় প্রবাসীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুবিধা

উত্তর আমেরিকার অন্যতম উন্নত একটি ধনী দেশ হলো কানাডা। কানাডায় বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ কাজের জন্য যেয়ে থাকে। আমাদের বাংলাদেশ থেকেও কানাডায় অনেক মানুষ কাজের জন্য যায়। কানাডায় প্রবাসীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুবিধা রয়েছে প্রচুর। কানাডায় কাজের পরিবেশও অনেক ভালো। আসুন জেনে নেওয়া যাক কানাডায় প্রবাসীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুবিধা গুলো।

  • কানাডায় মানুষের অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত ও জীবনযাত্রার মান অনেক ভালো। 
  • কানাডায় কাজের পরিবেশ খুবই ভালো। 
  • কানাডার শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সেবা, সামাজিক নিরাপত্তার সিস্টেম অনেক উন্নত ও ভালো। 
  • কানাডাতে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নত ভালো কোম্পানি রয়েছে। এই সংস্থা ও কোম্পানিগুলোতে প্রবাসীরা কাজের সুযোগ পায়।
  • কানাডাতে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও জাতির মানুষ একসাথে বসবাস করে। 
  • কানাডায় সামাজিক সুরক্ষা একস্বাস্থ্য সুরক্ষা খুবই ভালো। 
  • কানাডায় বিভিন্ন কাজে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীর চাহিদা রয়েছে প্রচুর।  
  • কানাডার সরকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ করেছে। 
  • দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে যারা বেশ এগিয়ে আছে সেসব কর্মীদের জন্য আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। 
  • কানাডায় প্রবাসী কর্মীদের নায‍্য অধিকার ও ক্যারিয়ার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। 
  • কানাডায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সাথে কাজ করলে আর্থিক ভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া যায়। 
  • কানাডায় প্রবাসী কর্মীদের জন্য শক্তিশালী এবং সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে।

কানাডায় কাজ করার জন্য কোন ভাষা শিখতে হয়

উত্তর আমেরিকার একটি অন্যতম উন্নত ধনী দেশ হলো কানাডা। কানাডা জীবনযাত্রা মান অনেক উন্নত। কানাডা দেশটি অর্থনৈতিক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেক উন্নত। কানাডাতে প্রবাসী কর্মীদের জন্য কাজের অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এইজন্য কানাডাতে বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ কাজ করতে যায়। কানাডাতে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শ্রমিকের চাহিদা প্রচুর। দক্ষ ও অভিজ্ঞ শ্রমিকের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধা রয়েছে।   

কানাডায় কাজ করার জন্য ফারসি ও ইংরেজি ভাষা শিখতে হবে। কানাডাতে কাজ করার জন্য যদি ভাষা শিখে যাওয়া যায়। তবে অনেক ভালো কাজ পাওয়া যায়।  ফারসি বা ইংরেজি ভাষায় ভালোভাবে কথা বলতে পারলে কাজ পেতে অনেক সুবিধা হয়। ফারসি ও ইংরেজি ভাষায় ভাল দক্ষতা থাকলে অনেক ভালো বেতনের ভালো চাকরি পাওয়া যায়।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কত বছর বয়স লাগবে 

উত্তর আমেরিকার মধ্যে অন্যতম উন্নত ও ধনী একটি দেশ হলো কানাডা। কানাডাতে যেতে চাওয়া অনেক মানুষের স্বপ্ন। কানাডা অনেক মানুষ কাজের জন্য যেতে চায়। কারণ কানাডাতে বিদেশি কর্মীদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। কানাডার জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত। কানাডাতে বিদেশী কর্মীদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।  কানাডা যাওয়ার জন্য কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে হয়। 

কানাডা-ওয়ার্ক-পারমিট-ভিসার-জন্য-কত-বছর-বয়স-লাগবে

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কানাডা সরকার একটি বয়স নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য ২১ বছর বয়স লাগবে। ২১ বছরের নিচে কোন ব্যক্তি কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে পারবে না। তবে স্টুডেন্ট ভিসায় বিভিন্ন রকম শর্তসাপেক্ষে ১৮ বছর বয়সে ভিসা পাওয়া যায়। স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য ১৮ বছর বয়স হতে হবে।

কানাডা ওয়ার্ক পারমেট ভিসার আবেদন মঞ্জুর হতে কতদিন লাগে

উত্তর আমেরিকার অন্যতম উন্নত এক ধনী দেশ হলো কানাডা। কানাডা দেশটির জীবনযাত্রা মান অনেক উন্নত। অর্থনৈতিক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেক উন্নত। কানাডাতে বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ কাজের জন্য যেয়ে থাকে। কারণ কানাডাতে প্রবাসী কর্মীদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। কানাডা কাজ করতে যাওয়ার জন্য কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে হয়।

আরো পড়ুনঃ 

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার পর মঞ্জুর হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন মঞ্জুর হতে প্রায় ১ থেকে ৩ মাস সময় লাগতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বা বিভিন্ন বিশেষ পরিস্থিতির জন্য আরো বেশি সময় লাগতে পারে। কাগজপত্রের ত্রুটি বা সার্ভার প্রবলেমের জন্য সময় লাগতে পারে।

লেখকের শেষ কথা

আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও কানাডা কাজে যাওয়ার জন্য আরো বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কানাডা যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও কানাডা যাওয়ার জন্য আরও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আজকের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। এর ফলে আপনার বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনরাও আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হতে পারবে। আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আমাদের সাথে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাম্ভ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url