চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার
যাদের চুল পড়ে যাচ্ছে, চুল বৃদ্ধি হচ্ছে না, শক্ত ও মজবুত না, সুন্দর না, রুক্ষ ও শুষ্ক চুলের বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছেন। তারা চুলের যত্ন কালোকেশী ব্যবহার করতে পারেন। অনেকে কালোকেশী ব্যবহার সম্পর্কে ঠিক মতো জানেন না। আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য।
আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই যারা চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তারা এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার
- চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার
- চুলের যত্নে কালকেশী গাছ চেনার উপায়
- চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহারের উপকারিতা
- চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহারের নিয়ম
- চুলের যত্নে কালোকেশী তেল তৈরি করার নিয়ম
- চুলের যত্নে কালকেশী তেল ব্যবহার করার উপকারিতা
- চুলের যত্নে কালোকেশী তেল ব্যবহার করার নিয়ম
- চুলের যত্নে কালোকেশী কতদিন ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়
- চুলের যত্নে কালকেশী ব্যবহার করার অপকারিতা
- লেখকের শেষ কথা
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার করা একটি প্রাকৃতিক উপায়। চুলের যত্নে কালোকেশী অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ভেষজ উদ্ভিদ। কালোকেশী চুল পড়া কমিয়ে চুলকে গোড়া থেকে শক্ত ও মজবুত করতে সাহায্য করে, চুল ঘন কালো ও লম্বা করতে সাহায্য করে, চুলের বিভিন্ন সমস্যায় কালোকেশী ব্যবহার করা যায়। চুলের বিভিন্ন সমস্যায় আমরা ভুগে থাকি। এসব সমস্যা সমাধানে কালোকেশী খুবই উপকার করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার কোন কোন উপায়ে করা যায়।
- কালোকেশীর তেল ব্যবহার করা যায়ঃ কালোকেশী তেল বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হয়। কালোকেশী তেল আমাদের চুলের জন্য খুবই উপকারী। তেল আমাদের চুলকে গোড়া থেকে শক্ত ও মজবুত করে, চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, চুলকে ঘন কালো করতে সাহায্য করে, চুলকে মসৃণ করতে সাহায্য করে, চুলের রুক্ষতা ও শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে, চুলকে খুশকি মুক্ত রাখতে সাহায্য করে, চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে চুলকে সুন্দর ও ঝলমলে করে তোলে।
- কালোকেশীর হেয়ার টনিক ব্যবহার করা যায়ঃ চুলের বিভিন্ন সমস্যায় হেয়ার টনিক খুবই একটি উপকারী উপায়। হেয়ার টনিক আমাদের চুলকে সুন্দর, উজ্জল ও ঝলমলে করে তোলে। চুলকে শক্ত ও মজবুত করে, চুলকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, চুলকে ঘন কালো করতে সাহায্য করে, চুলকে মসৃণ করতে সাহায্য করে, মাথার ত্বককে ঠান্ডা রাখে ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- কালোকেশী হেয়ারমাক্স ব্যবহার করা যায়ঃ আমাদের চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয় কালোকেশী হেয়ার মাক্স। চুল বৃদ্ধি করতে, চুল পড়া কমাতে, পাকা চুল রোধ করতে, চুল ঝলমলে করতে, চুল গোড়া থেকে শক্ত ও মজবুত করতে, চুল ঘন কালো ও লম্বা করতে, চুল খুশকি মুক্ত করতে, চুলের রুক্ষতা ও শুষ্কতা কমাতে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- কালকেশীর হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা যায়ঃ হেয়ার প্যাক আমাদের চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে, চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে, চুলের রুক্ষতা ও শুষ্কতা কমিয়ে চুলকে মসৃণ করতে সাহায্য করে, চুল পাকা রোধ করতে সাহায্য করে, চুলকে খুশকি মুক্ত করতে সাহায্য করে, মাথার ত্বককে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে, চুলকে ঘন কালো ও লম্বা করতে সাহায্য করে।
চুলের যত্নে কালকেশী গাছ চেনার উপায়
চুলের যত্নে কালোকেশীর ব্যবহার রয়েছে প্রচুর। কালোকেশী গাছটি প্রচুর উপকারী একটি গাছ। তাই চুলের যত্নে কালকেশী ব্যবহার করা হয়। চুলের বিভিন্ন সমস্যায় সমাধান দেয় কালোকেশী। আমরা সকলেই সুন্দর চুল পছন্দ করে থাকি। চুল আমাদের সৌন্দর্য বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুল সৌন্দর্যের এক রহস্য। আদিমকাল থেকেই কেলোকেশী গাছ চুলের যত্ন ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই আপনারা যদি এই অতি উপকারী কালোকেশী গাছকে চিনে না থাকেন। তাহলে চুলের যত্নে কালোকেশী গাছ চেনার উপায় জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ
কালোকেশী একটি ঔষধি গুনসম্পন্ন বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। কালোকেশী উদ্ভিদটি আমাদের বাড়ির আশেপাশে, পুকুর ঘাটের আশেপাশে, রাস্তাঘাটের আশেপাশে যেই ঝোপ-ঝাড় গুলো থাকে। সেগুলোতেই কালোকেশী গাছটি পাওয়া যায়। কালোকেশী গাছের শাখা প্রশাখা রয়েছে। কালোকেশীর গাছের শাখা প্রশাখা লতানো প্রকৃতির হয়ে থাকে। শাখা প্রশাখা গুলো অনেকটা ভারী হয়ে থাকে। এইজন্য নিচের দিকে হেলে যায়। কেলোকেশী গাছের পাতা ছোট ছোট প্রকৃতির হয়ে থাকে। কেলোকেশী গাছের পাতার রং গারো সবুজ রংয়ের হয়ে থাকে। কেলোকেশী গাছের প্রশাখার শেষে দুই থেকে তিনটি ফুল ফোটে।কেলোকেশী গাছের ফুলের রং সাদা রংয়ের হয়ে থাকে।
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহারের উপকারিতা
চুলের যত্নে কালো পেশী ব্যবহার আদিম কাল থেকে হয়ে আসছে। আমরা সকলেই সুন্দর চুল পছন্দ করি। চুল সৌন্দর্যের এক রহস্য। চুল আমাদের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। আমরা অনেক সময় চুলের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকি। অনেক সময় আমাদের চুল রুক্ষ, শুষ্ক, ড্যামেজ হয়ে যায়, চুল ঝরে পড়ে যায়, অনেকেতো টাক হয়ে যায়, চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কালোকেশী ব্যবহারের উপকারিতা প্রচুর। আসুন জেনে নেওয়া যাক চুলের যত্নে কালকেশী ব্যবহারের উপকারিতা গুলো।
- চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
- নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।
- চুলের শিকড়ে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে।
- চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
- চুলের ক্ষয়রোধ করতে সাহায্য করে।
- চুলের কোষকে পুষ্টি সরবরাহ করে।
- খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
- মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- মাথার ত্বকের মৃত কোষ গুলো দূর করতে সাহায্য করে।
- চুলের স্বাভাবিক রং বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- পাকা চুল কমাতে সাহায্য করে।
- চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
- চুলকে সিল্কি নরম ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।
- চুলের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।
- ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে পুনরায় সুন্দর করতে সাহায্য করে।
- মাথার ত্বককে শীতল ও শান্ত রাখতে সাহায্য করে।
- মাথার ত্বকের চুলকানি জ্বালাপোড়া ভাব বা যেকোনো সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহারের নিয়ম
সুন্দর চুল সবাই পছন্দ করে। তাই তো চুলকে যত্ন করতে হয়। চুল যদি আপনি যত্ন না করেন তবে আপনার চুল রুক্ষ, শুষ্ক, ভঙ্গুর হয়ে যায়। চুল অতিরিক্ত পরিমাণে পড়ে যায়। অনেকের তো মাথায় টাকও হয়ে যায়। চুল মানুষের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। চুল মানুষের সৌন্দর্যের এক অন্যতম রহস্য। চুলের প্রতি অতিরিক্ত যত্নবান হতে হবে। তাহলে চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ফলে চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হবে না। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার আদিমকাল থেকে হয়ে আসছে। কেননা কালোকেশী চুলকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল, সুন্দর ও প্রাণবন্ত করতে খুবই সাহায্য করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক চুলের যত্নে কালো কেশির ব্যবহারের নিয়ম।
- কালোকেশী হেয়ার মাক্সঃ কালোকেশীর হেয়ারমাক্স ব্যবহার করলে চুল পাকা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তরতাজাক টাটকা কালোকেশী পাতা সংগ্রহ করুন। এরপর ভালোভাবে কালোকেশী পাতাগুলো ধুয়ে নিনহ। কালোকেশী পাতাগুলো ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটির সাথে টক দই, মেথি, কারি পাতা, জবা ফুলের পেস্ট একত্রে মিশিয়ে হিয়ার মাক্স তৈরি করুন। হেয়ার মাক্স মাথা ঠান্ডা করে, চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে, চুল কালো করতে সাহায্য করে, হেয়ার মাক্স সম্পূর্ণ চুলে গোড়া থেকে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হয়ে গেলে ভালোভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন হেয়ার মাক্স ব্যবহার করুন। কালোকেশী হেয়ার মাক্স ব্যবহার করলে আশা করি আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।
- কালোকেশী তেল ব্যবহারের নিয়মঃ কালকেশী তেল আপনার চুলকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, চুলকে ঘন কালো লম্বা ও মসৃণ করতে সাহায্য করে, আপনি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে কালোকেশী তেল মাথায় লাগিয়ে নিন। সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। আশা করি এতে আপনি খুব ভালো ফলাফল পাবেন।
- কালোকেশী হেয়ার টনিকঃ কালোকেশী হেয়ার টনিক বানাতে ২৫০ গ্রাম তিলের তেল সংগ্রহ করুন। ২৫০ গ্রাম নারিকেল তেল সংগ্রহ করুন। তিলের তেল ও নারিকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপরে এর সাথে কালোকেশী পাতার রস মিশিয়ে দিন। এরমধ্যে একটি গোটা জবা ফুল, একটা গোটা আমলকি, এক চামচ মতো মেথি, কিছু কারি পাতা মিশিয়ে দিন। মেশানো হয়ে গেলে সব কয়টি উপাদান একসঙ্গে করে একটি পাত্রে আগুনে দিয়ে ভালোভাবে জাল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। উপাদানগুলো ভাজা ভাজা হয়ে গেলে পাত্রটি নামিয়ে ফেলুন। এরপর ঠান্ডা করে ছেঁকে একটি কাঁচের বোতলে ভরে নিন। এই তেলটি মাথায় দিলে মাথা ঠান্ডা হয়। চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। চুল ঘন কালো ও লম্বা করতে সাহায্য করে। কালোকেশী হেয়ার টনিকটি সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমানোর পূর্বে এই হেয়ার প্যাকটি ভালোভাবে চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করুন। সমস্ত চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন।
চুলের যত্নে কালোকেশী তেল তৈরি করার নিয়ম
বিভিন্ন কারণে আমাদের চুলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কালোকেশী খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ন। আদিমকাল থেকেই চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার হয়ে আসছে। চুলের যত্নে কালোকেশী তেল খুবই উপকারী।কালোকেশী তেল প্রাকৃতিক হওয়ায় আমাদের চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। চুলকে পুনরায় সুন্দর করে তোলে, প্রাণবন্ত, ঝলমলে, মসৃণ, ঘন কালো ও লম্বা করে তোলে। আসুন জেনে নেওয়া যাক চুলের যত্নে কালোকেশী তেল তৈরি করার নিয়ম।
- উপকরণঃ প্রথমে ভালো দেখে ২০ থেকে ৩০ টি তরতাজা টাটকা কেলোকেশী পাতা সংগ্রহ করুন। শুকনো কালোকেশী পাতা বা গুঁড়াও ব্যবহার করতে পারেন। গুঁড়া ব্যবহার করলে ২ টেবিল চামচ গুড়া সংরক্ষণ করুন। এক কাপ অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল সংগ্রহ করুন। ৩ থেকে ৪টি লবঙ্গ সংগ্রহ করুন। একটি বড় মাপের পেঁয়াজ সংগ্রহ করুন।
- পদ্ধতিঃ প্রথমে টাটকা তরতাজা কালোকেশী পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। যদি শুকনো পাতা সংগ্রহ করে থাকেন তবে তা ভালোভাবে একটি মসৃণ গুঁড়ো তৈরি করে নিন। একটি পাত্রে এক কাপ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল নিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করতে দিন। তেল হালকা গরম হয়ে গেলে কালোকেশী পাতা বা গুঁড়া যোগ করুন। লবঙ্গ যোগ করুন। সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। যাতে উপাদান গুলো তেলের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায়। ১০ থেকে ১৫ মিনিট মাঝারি আঁচা তেলটিকে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। তেলটি ১০-১৫ মিনিট পরে অল্প আঁচে কিছু সময় রাখুন। কিছু সময় বাদ তেলটি নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন।তেল ঠান্ডা হয়ে গেলে তা ভালোভাবে ছেঁকে নিন।তেলটি একটি ভালো বা পরিষ্কার বোতলে ভরে রাখুন।
- এই তেলটি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে মাথায় ও চুলে ভালোভাবে লাগাতে হবে। সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। রাতে যদি লাগাতে না পারেন তবে গোসলের পূর্বে ১ থেকে ২ ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ধৈর্য ধরে ব্যবহার করুন। আশা করি আপনি ৬ থেক ৭ সপ্তাহের মধ্যে ভালো ফলাফল পাবেন। সবচেয়ে ভালো ফল থেকে ধৈর্য ধরে তিন থেকে ছয় মাস ব্যবহার করুন। চুল সুন্দর ও মসৃণ, ঘন কালো ও লম্বা সাস্থ্যবান হয়ে উঠবে।
চুলের যত্নে কালকেশী তেল ব্যবহার করার উপকারিতা
চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে কালোকশী চুলকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কালোকেশী তেল মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত করতে সাহায্য করে। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। কালোকেশী তেল ৩ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে চুলের স্বাস্থ্য উন্নতি করে চুলকে ঘন কালো ও লম্বা করে তোলে। ভালো ফলাফল পেতে অবশ্যই কমপক্ষে ৩ মাসের মতো ব্যবহার করতে হবে। খুশকি কমাতে সাহায্য করে কালোকেশী তেল। মাথার ত্বকের মৃতকোষ দূর করে, মাথার ত্বকের অতিরিক্ত জমে থাকা তেল দূর করতে সাহায্য করে। এর ফলে চুলের শুষ্কতা ও রুক্ষতা কমায়। মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। মাথার ত্বক তৈলাক্ত বা শুষ্ক হলে খুশকি হতে পারে কালোকেশী তেল খুশকি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কালোকেশী তেল ১ থেকে ২ সপ্তাহের মতো ব্যবহার করলে মাথার খুশকি কমে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
মাথার ত্বক মশ্চারাইজার করে। কালোকেশী তেল চুলের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। কালোকেশী তেল মাথার ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কালোকেশী তেল ব্যবহার করলে মাথার ত্বক সুস্থ ও নরম থাকে। ফলে চুল স্বাস্থ্য উজ্জ্বল থাকে। কালোকেশী তেলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মাথার তাকে শুষ্কতা কমিয়ে মাথার ত্বক নরম রাখে। কালোকেশী তেল চুলের স্বাভাবিক কালো রং বজায় রাখতে সাহায্য করে। চুলের প্রাকৃতিক রং বজায় রাখতে সাহায্য করে। কালোকেশী তেল ব্যবহারের ফলে সাদা চুল গজানো কমিয়ে চুলের প্রাকৃতিক রং বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কালোকেশী তেল চুলকে নরম ও মসৃণ করে তোলে। চুলের শুষ্কতা কমায়। কালোকেশী তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই চুলকে সিল্কি বা মসৃণ করতে সাহায্য করে। চুল ফাটা রোধ করতে সাহায্য করে। কলোকেশী তেল চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে। চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। নষ্ট হয়ে যাওয়া চুলকে সুন্দর ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। কালোকশী তেল প্রাকৃতিক ও ঝুঁকি মুক্ত। কেননা কালোকেশী তেলে রাসায়নিক উপাদান যুক্ত করা নেই। কালোকেশি তেল চুলের জন্য নিরাপদ ও ঝুঁকি মুক্ত। এটি ব্যবহার করার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিক কম।
চুলের যত্নে কালোকেশী তেল ব্যবহার করার নিয়ম
কালোকেশী তেল চুলে ব্যবহার করার পূর্বে হালকা গরম করে ব্যবহার করা ভালো। গরম করে ব্যবহার করার ফলে তেল মাথার ত্বকে তাড়াতাড়ি প্রবাহিত হয়। ত্বকের রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে। কালোকেশী তেল আপনি মাথায় সরাসরি লাগাতে পারেন। আপনি ১ থেকে ২ টেবিল চামচ কালোকেশী তেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনার চুলের ওপর নির্ভর করবে আপনার কতটুকু তেল প্রয়োজন। কালোকেশী তেলটি মাথায় লাগিয়ে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ম্যাসেজ করুন।
সম্পূর্ণ চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। কালোকেশী তেল রাতে ঘুমানোর পূর্বে লাগিয়ে ঘুমানো ভালো। সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। কালোকেশী তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি খুব ভালো ফলাফল পাবেন। আপনি প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার কালোকেশী তেলটি ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি তাই ভালো ফলাফল পেতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হবে। তাই আপনাকে ধৈর্য ধরে কালোকেশী তেলটি কমপক্ষে ৩ মাস ব্যবহার করতে হবে।
চুলের যত্নে কালোকেশী কতদিন ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়
চুল সৌন্দর্যের এক অন্যতম রহস্য। আমাদের সৌন্দর্য বাড়াতে চুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা চুলের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকি। অনেকের চুল ঝরে পড়ে যায়, চুল রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায়, চুলের আগা ফেটে যায়, পাকা চুল দেখা দেয়,কেউ কেউ তো টাকও হয়ে যায়। তাই আমাদের চুলের প্রতি অধিক যত্নবান হতে হবে। আমরা যদি চুলকে নিয়মিত ভালোভাবে যত্ন করি তবে আমরা চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাব। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার করে আমরা চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। কালোকেশী তেল, কালোকেশী হেয়ার প্যাক, কালো কেশি হেয়ার টনিক, কালোকেশী হেয়ারমাক্স বিভিন্ন উপায়ে আমরা চুলের যত্ন করতে পারি। এই উপায়গুলো আমরা নিয়মিত ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ ব্যবহার করলে চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। ৩ থেকে ৪ সপ্তাহর মধ্যে চুল পড়া কমতে শুরু করে। ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর চুলের বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। তবে চুলের যত্নে কালোকেশী কমপক্ষে ৩ মাস এবং সর্বোচ্চ ৬ মাস ব্যবহার করলে সবচেয়ে বেশি ভালো ফলাফল পাবেন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন চুলের যত্নে কালোকশী ৬ মাস ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
চুলের যত্নে কালকেশী ব্যবহার করার অপকারিতা
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার আদিম কাল থেকে হয়ে আসছে। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার প্রাকৃতিক বলে এটির চাহিদা প্রচুর। তবে কালকেশী ব্যবহারে যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি তার কিছু অপকারিতাও রয়েছে। কালকেশীর ব্যবহারে উপকারিতা চেয়ে অপকারিতা খুবই কম। আসুন জেনে নেওয়া যাক চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার করার অপকারিতা গুলো।
- এলার্জিঃ চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহারের ফলে কিছু মানুষের এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকে চুলকানি, র্যাশ, ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।
- চুলে নষ্টঃ অতিরিক্ত তেল ব্যবহারের ফলে চুলের গোড়ায় অতিরিক্ত তেল জমে যেতে পারে। ফলে চুলের পুষ্টির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে চুল নষ্ট হতে পারে।
- মাথার ত্বক জ্বালাপোড়াঃ কালোকেশী তেল ব্যবহারের করার পূর্বে গরম করলে অতিরিক্ত তেল গরম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তেল যদি অতিরিক্ত গরম হয় তাহলে মাথার ত্বকে জ্বালা পোড়া সমস্যা দেখা দিতে পারে। তেল গরম করার সময় সঠিক তাপমাত্রায় তেল গরম করুন।
- কালোকেশী সংগ্রহঃ কালোকেশী পাতা সংগ্রহ করার পূর্বে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে সংগ্রহ করুন। যাতে কালোকেশী পাতা রসায়নিক ও কীটনাশক মুক্ত হয়। না হলে আপনার মাথার ত্বকে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- চুলের যত্নে কালো কেশী ব্যবহার করাই যদি আপনি কোন ক্ষতির সম্মুখীন হন। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কালকেশী ব্যবহার করুন। এর ফলে চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার করার উপকারিতা গুলো আপনি সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারবেন। এতে করে আপনার চুল সুন্দর ও প্রাণবন্ত হবে। চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
লেখকের শেষ কথা
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ন। প্রাকৃতিক হওয়ায় কালোকেশী আমাদের চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। আদিমকাল থেকে চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই আমরা আমাদের চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার করতে পারি। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তবে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এর ফলে আপনার বন্ধুরাও এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হতে পারবে এবং নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আমাদের সাথে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url